নয়াদিল্লি: দল ছাড়লেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল। কংগ্রেস ছেড়ে এবার তিনি যোগ দিলেন অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই এসপির হয়ে রাজ্যসভার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিব্বল। বুধবার মনোনয়ন পেশের সময় তাঁর পাশে ছিলেন সমাজবাদী দলের মূল কান্ডারী অখিলেশ যাদব।
কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা বহুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। তাঁকে প্রকাশ্যে একাধিকবার কংগ্রেস তথা সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নিয়মনীতির বিরোধিতাও করতে দেখা গিয়েছে। ফলে বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর দল ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কংগ্রেসের অন্দরে। আর সেই সম্ভাবনাকে সত্যিতে রূপান্তরিত করে বুধবার তিনি সমাজবাদী দলের হয়ে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিলেন। পেশায় আইনজীবী কপিল সিব্বল বহু যুগ ধরে কংগ্রেসী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মনমোহন জামানায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন দক্ষ হাতে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই সিব্বলের গলায় শোনা যাচ্ছিল উল্টো সুর। আর তাই তাঁকে ক্রমশ কোণঠাসা করা হচ্ছিল দলে, এমনকি সম্প্রতি কংগ্রেস তাঁকে আবার রাজ্যসভায় পাঠাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়। আর তাই শেষমেষ হাত শিবির ছেড়ে অখিলেশের সঙ্গেই হাত মেলানোর এই সিদ্ধান্ত নিলেন সিব্বল।
কপিল সিব্বলের দাবি, গত ১৬ মে তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। এরপর আজ অর্থাৎ ২৫ মে তিনি অখিলেশ যাদবের হাত ধরেই সমাজবাদী দলের সাংসদ হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিলেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কপিল বলেন, ‘আমি বরাবরই মোদি বিরোধী কথা বলে এসেছি। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক। আশা করছি আমি আমার ভূমিকায় অনড় থেকে এসপির হয়েও সংসদে আওয়াজ তুলতে পারব।’
প্রসঙ্গত বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে কপিল সিব্বল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম। সম্প্রতি জয়পুরের চিন্তন শিবিরে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির তথা জি ২৩-এর দুই নেতা আনন্দ শর্মা এবং গুলাম নবি আজাদকে সোনিয়ারা গুরুত্ব দিলেও কংগ্রেসে ক্রমশই গুরুত্ব হারাছিলেন সিব্বল। যেখানে জি ২৩-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। আর তার জেরেই এই দলবদলের সিদ্ধান্ত, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।