নয়াদিল্লি: তিনি উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্য দিল্লির সংঘর্ষের জন্য অনেকটা দায়ী। দিল্লির সংঘর্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির সেই বিতর্কিত নেতা কপিল মিশ্র ওয়াই প্লাস সিকিউরিটি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি একজন নিরাপত্তাকর্মী ২৪ ঘণ্টা তাঁকে নিরাপত্তা দেবে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কপিল মিশ্র খুনের হুমকি পাচ্ছেন, সেই কারণে তাঁকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খুনের হুমকি পাওয়ার পরেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন কপিল মিশ্র। তবে দিল্লি পুলিশের এই সিদ্ধান্ত এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তর জানে না বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার কপিল মিশ্র সহ একাধিক বিজেপি নেতার উসকানিমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির সংঘর্ষ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীদের কয়েকজন। গঞ্জাসভেস নামের এক মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, ‘দিনে প্রায় ১০ জন করে মানুষ খুন হচ্ছে। এই মামলা শোনা খুব জরুরি।’ এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবডে প্রশ্ন করেন, ‘কেন দিল্লি হাইকোর্ট একমাস সময় দিল? শুনানি পিছিয়ে দিল?’ এই মন্তব্যের পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট বুধবার মামলাটি শোনার জন্য রাজিও হন বলে জানা গিয়েছে।