পাটনা: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান মামলায় ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছেন তিনি। ফের হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা তথা সিপিএম নেতা কানহাইয়া কুমারকে। এই পরিস্থিতির মাঝে এবার দলবদলের জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ কানহাইয়া। সম্প্রতি বিজেপির শরিক জনতা দল ইউনাইটেড প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি! তাই সঙ্গে সঙ্গে কানহাইয়ার দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে। তবে হঠাৎ নীতীশের দলের সদস্যের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ কেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আসল ঘটনা হল, কয়েক সপ্তাহ আগে হায়দারাবাদ সিপিআইয়ের অফিস সচিব ইন্দুভূষণ পাটনা সফরে এলে কানহাইয়া কুমার তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকেই তার সঙ্গে দলের দূরত্ব বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন দলের সঙ্গে দূরত্ব হয়তো এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কানহাইয়া কুমার এখন দলবদল নিয়ে ভাবছেন, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে এমনিতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা নিয়ে চাপে রয়েছেন কানহাইয়া কুমার। তাই যদি বিজেপির শরিক দলের সঙ্গে যোগসাজশ এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে দলে অন্তর্ভুক্তি ঘটানো যায় তাহলে পরোক্ষভাবে চাপমুক্ত হতে পারার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এই সমস্ত অনুমান তখনই সঠিক হবে যখন কানহাইয়া সত্যি সত্যি দলবদল করবেন। এখনো পর্যন্ত তিনি যে দল বদল করতে চলেছেন এমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, স্লোগান মামলায় সোমবার দিল্লি পুলিশ এই মামলায় নতুন চার্জশিট পেশ করে তার ওপর ভিত্তি করেই আগামী ১৫ মার্চ কানহাইয়া সহ বাকি অভিযুক্তদের হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের তরফ থেকে। ২০১৬ সালে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল তাতে তৎকালীন সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমার ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারায় চার্জশিট দায়ের করা হয় দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। এই মামলায় কানহাইয়ার সঙ্গে বাকি অভিযুক্তরা হলেন সইদ উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, আকিব হোসেন, মুজিব হোসেন গাট্টু, মুনিব হোসেন গাট্টু, উমর গুল, রইস রাসুল, বাশারাত আলি এবং খালিদ বশির ভাট।