মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত গোটা দেশ। প্রকাশ্যে এসেছে, শেষ ছ’ মাস ধরে গভীর মানসিক অবসাদে ভোগার কথা। অনেকেই মনে করছেন পেশাগত ক্ষেত্রে ‘ব্যর্থতার’ কারণেই অবসাদ এবং সেখান থেকেই আত্মহত্যা। পরিচালক শেখর কাপুর দাবি করেছেন, তিনি তাঁদের চেনেন যারা সুশান্তকে নিরাশ করেছেন। বরাবরই বিতর্কিত, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এক্ষেত্রেও কোনও রাখঢাক করেননি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সুশান্তের কাজ সমাদৃত হল না। একশ্রেণির মিডিয়ার দাবি, সুশান্ত দুর্বল মস্তিষ্কের মানুষ তাই পলায়নবৃত্তির রাস্তায় হেঁটেছেন। এই মতবাদকে উড়িয়ে দিয়ে কঙ্গনার দাবি, স্ট্যানফোর্ড স্কলারশিপের স্থানাধিকারীর মস্তিষ্ক কখনওই দুর্বল হতে পারে না।
নেপোটিজম নিয়ে বহুদিন ধরেই সোচ্চার কঙ্গনা বলছেন, ধোনি, কেদারনাথ, ছিছোরে-র মতো অসাধারণ কাজ করেছেন সুশান্ত। তাও তাঁকে তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মান দেওয়া হয়নি। সুশান্ত নিজে বারবার বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনও গডফাদার নেই, তাও কারও সমর্থন পাননি তিনি। কঙ্গনা বলছেন, বারংবার অনুরোধ করেছেন করেছেন সুশান্ত যাতে তাঁর সিনেমা দেখা হয়। সাক্ষাৎকারে বলেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে ‘উচ্ছিষ্ট’ বলে মনে হয়। কঙ্গনার অভিযোগ, এই ঘটনাগুলো কি দুর্ঘটনার ভিত্তি নয়? কায় পো চে-র মতো ছবি দিয়ে শুরু করেছিলেন সুশান্ত। সেক্ষেত্রেও তাঁকে কোনও সম্মান জানানো হয়নি। কঙ্গনা বলছেন, গালি বয়ের মতো ফালতু ছবি সব অ্যাওয়ার্ড পেয়ে যায় অথচ ছিছোরে কোনও সম্মান পায় না।
#KanganaRanaut exposes the propaganda by industry arnd #SushantSinghRajput's tragic death &how the narrative is spun to hide how their actions pushed #Sushant to the edge.Why it’s imp to give talent their due &when celebs struggle with personal issues media to practice restraint pic.twitter.com/PI70xJgUVL
— Team Kangana Ranaut (@KanganaTeam) June 15, 2020
এক্ষেত্রেও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক শ্রেণির হাত রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, প্রভাবশালীদের ‘পোষা’ সাংবাদিকরা সুশান্তকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত, ড্রাগ-অ্যাডিক্ট, অ্যালকোহলিক বলে দেগে দেয় আসল কারণ ধামাচাপা দিতে। এ প্রসঙ্গে নিজের উদাহরণ তুলেও বলেছেন, তাঁকেও খোঁচা দিয়ে বলা হয়, খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে উল্টোপাল্টা কিছু করে বসবেন না। তাঁর পরিচালনা করা ছবি ভাল হলেও সমাদর পায় না। কঙ্গনার অভিযোগ, এরা চায় যে ব্যর্থ তকমা নিয়ে সুশান্তের মতো মানুষ আত্মহত্যা করুক। শুধু সুশান্তের দোষ এটাই যে সে মেন নিল যে সে ব্যর্থ।