চেন্নাই: সালটা ছিল ২০১৮। মক্কাল নিধি মাইয়াম নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা কমল হাসান। এবার তামিলনাড়ু ভোটে অংশ নিচ্ছে সেই দল। শুক্রবার অভিনেতা দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন, সেখানেই দেখা যায় কোয়েম্বাটুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে লড়ছেন অভিনেতা নিজে৷ এর আগে শোনা গিয়েছিল, তিনি চেন্নাইয়ের আলানদুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন। এই আসনটি দীর্ঘ ন’বছর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রনের দখলে ছিল৷
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে গিয়ে বাবার অপূর্ণ ইচ্ছের কথা শোনালেন কমল হাসান৷ বললেন, ‘বাবা চেয়েছিলেন, আমি আইএএস অফিসার হয়ে তার পর রাজনীতিতে যোগ দেব। আমি পারিনি, তবে আমার দলে অনেক আইএএস অফিসার রয়েছেন, সেটাই গর্বের।’ এমএনএম এবার অল ইন্ডিয়া সমথুভা মাক্কাল কাটচি-র সঙ্গে জোট করেছে। অভিনেতা শরতকুমারের দল এটি। দুটি দলই ৮০টি করে আসনে প্রার্থী দেবে। কমল হাসানের দল এবার অনলাইনে আবেদন করে প্রার্থী চেয়েছিলেন, অনলাইনে আবেদনরে মাধ্যমেই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। রীতিমতো ইন্টারভিউ নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে৷
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বরাবরই স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছেন কমল হাসান, তাই তাঁর দল যে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নেবে তা বলাই বাহুল্য৷ মূলত দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান, গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন এবং ঘরে ঘরে পানীয় জলের
সমস্যা মেটানোর মতো ইস্যু নিয়েই নির্বাচনে ঝাঁপিয়েছে এমএনএম৷ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১১ শতাংশ ভোট কুড়িয়েছিল কমলের দল৷ কোয়েম্বাটুর দক্ষিণ কেন্দ্রটি এখন এডিএমকে-র দখলে আছে।সেখানকার বিধায়কের নাম আরজুনান। কমল হাসানের দলের অপর প্রার্থীদের মধ্যে আছেন সুভাষ চার্লস,আর মহেন্দ্রন। আলানদুর কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন শরদ। গত বুধবার কমল হাসানের দল প্রথম দফায় ৭০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে।
গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবন নির্মান প্রসঙ্গে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন অভিনেতা কমল হাসান। কোভিড সংক্রমণের ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তখন প্রচুর অর্থ খরচ করে, নতুন সংসদ ভবন বানানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা৷