নয়াদিল্লি: বিজেপি’র পদ্ম ছেড়ে লন্ঠন হাতে ফের বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নীতীশ কুমার৷ তবে এই প্রথম নয়৷ এর আগেও বহু বার নীতি বদল করেছেন নীতীশ৷ ফের বিহারে পালাবাদল ঘটাতেই তাঁকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আজব উপমা টেনে তিনি বলেন, ‘‘মেয়েরা যেভাবে তাঁদের প্রেমিক বদলান, নীতীশ তেমন ভাবেই শরিক বদলান’’৷
আরও পড়ুন- ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর ঘাঁটি! উপগ্রহচিত্রে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে নতুন করে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। যা নিয়ে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির৷ বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে ইনদৌরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘বিদেশে যখন গিয়েছিলাম, তখন কেউ এক জন বলেছিলেন, সেখানে মহিলারা নাকি যে কোনও সময়ে তাঁদের প্রেমিক পাল্টে ফেলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও ঠিক তেমনই আচরণ করেন। কেউ বুঝতেই পারবেন না, উনি কখন কার হাত ধরবেন, আর কার হাত ছাড়বেন।’’ নীতীশের জোট বদল নিয়ে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মহিলাদের ‘প্রেমিক বদলানো’র কথা বলতেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে৷ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে জোড় সমালোচনা শুরু হয়েছে।
২০২৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে ২০২৪-এ লোকসভা৷ তার আগে এভাবে মাঝপথে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ায় নীতীশের বিরুদ্ধে রে রে করে তেড়ে গিয়েছে মোদী বাহিনী। এবার ঝাঁঝালো শব্দবাণ ছুঁড়লেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ এদিকে, বিজেপিকে বিঁধে নীতীশের পাল্টা দাবি, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মতো বিহারে তাঁদের দলেও ভাঙন ধরাতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ।
বিজেপির সঙ্গে জেডিইউয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ২০১৫ সালেও বিজেপির হাত ছেড়ে লালুপ্রসাদের আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধেছিল নীতীশের দল। সে বারও আরজেডি’র কাছে বেশি আসন ছিল৷ কিন্তু ‘বন্ধু’ নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়েছিলেন লালু৷ মন্ত্রী করেছিলেন নিজের দুই ছেলেকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>