Aajbikel

মাত্র ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে জোশীমঠ, ভয় ধরাচ্ছে ISRO-র উপগ্রহচিত্র

 | 
জোশীমঠ

জোশীমঠ: আরও চওড়া হচ্ছে দুশ্চিন্তার বলিরেখা৷ দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে জোশীমঠ৷ শেষ ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার মাটি বসে গিয়েছে জোশীমঠের মাটি৷ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল এমনই ভয়ঙ্কর ছবি৷ ওই উপগ্রহ চিত্রে ভারতীয় সেনার হেলিপ্যাড, একটি মন্দির-সহ পুরো এলাকাকে 'সংবেদনশীল' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক মামলায় আপাত স্বস্তি মমতার, জারি সমন হল বাতিল

ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে যে উপগ্রহ চিত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ। কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় পাঁচ সেমির মতো বসে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই শহর। জোশীমঠের মধ্যভাগে ভূমি বসে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছে আতঙ্কের ছবি৷ দেখা গিয়েছে, কী ভাবে বসে যাচ্ছে জোশীমঠ৷  গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে জোশীমঠের মাটে ৯ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে। কিন্তু গত বছরের শেষের দিক থেকে নয়া বছরের ৮ তারিখের মধ্যে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে৷ সেই ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে ইসরোর উপগ্রহচিত্রে৷ ভূমিধসের জেরে জোশীমঠ-আউলি রোড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও ইসরোর ছবিতে ইঙ্গিত মিলেছে।

ইসরোর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাধিক কারণে জোশীমঠের মাটি বসে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ভূমিধসে বাড়তে থাকে। দেখা গিয়েছে, দ্রুতগতিতে জোশীমঠের মাটি বসে যাচ্ছে। সেনা হেলিপ্যাড ও মন্দিরের আশেপাশে ব্যাপক ভাবে মাটিতে ধস নামছে। জোশীমঠ-আউলি রোডের কাছে ২১৮০ মিটার উচ্চতা থেকে মাটিতে ফাটল ধরা শুরু হয়েছে।

তবে গত কয়েক মাসে জোশীমঠের ভাঙনের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল। গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই শহরের মাটিতে  ৯ সেন্টিমিটার ধস নেমেছিল। সেই তুলনায় গত এক মাসে জোশীমঠের মাটি বসে গিয়েছে ৫.৪ সেন্টিমিটার৷ 


একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই জোশীমঠের মাটি আলগা হচ্ছিল। ভূমিকম্প, ভূমিধস, হড়পা বানের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি এই পার্বত্য শহর। সম্প্রতিই জোশীমঠের বাড়ি ও হোটেলগুলিতে ফাটল দেখা যায়। উপগ্রহ চিত্রে ভূমিধসের চিত্র ধরা পড়ার পরই ৪ হাজারেরও বেশি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জোশীমঠের ৬৭৮টি বাড়ি ও হোটেল বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব রঞ্জিত সিনহা জানিয়েছেন, রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সেন্ট্রাল বিল্ডিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে এই কাজ করা হবে। এমনভাবে হোটেলগুলি এমন ভাবে ভেঙে ফেলা হবে যাতে আশপাশের কাঠামোয় কোনও ক্ষতি না হয়।'

Around The Web

Trending News

You May like