JNU: ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর তাণ্ডবের প্রমাণ উধাও! ঐশীর বিরুদ্ধে নোটিশ পুলিশের

JNU: ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর তাণ্ডবের প্রমাণ উধাও! ঐশীর বিরুদ্ধে নোটিশ পুলিশের

নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হোস্টেলে হামলার পাঁচ দিন পরও তথ্য হাতড়াচ্ছে দিল্লি পুলিশ৷ কারা হামলা চালালো, সেবিষয়ে কোনও তথ্যই দিতে পারল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি৷ মূল হামলার ঘটনা এড়িয়ে ৮ দিনের পুরানো গোলমালের ঘটনায় ঐশী ঘোষ-সহ ৪ বাম ছাত্র সংগঠনের ঘাড় দায় চাপিয়ে ৯ সন্দেহভাজন পড়ুয়ার নাম-ছবি প্রকাশ করে নোটিস পাঠাল দিল্লি পুলিশ৷ ছাত্রী হোস্টেলে মুখোশধারীদের তাণ্ডবের তদন্তের বদলে সার্ভাররুম ভাঙচুরে তদন্তে বাম ছাত্র সংগঠনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল দিল্লি পুলিশ৷

আজ বিকালে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে গত ৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে অশান্তির ঘটনায় ৯ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে তাঁদের ছবি প্রকাশ করে৷ ক্যাম্পাসের সার্ভাররুম ভাঙচুরে পুলিশের প্রকাশ করা সন্দেহভাজনদের তালিকায় রয়েছেন বাংলায় মেয়ে ঐশী ঘোষ-সহ ৯ বামপন্থী পডুয়ার নাম৷ পুলিশের দাবি প্রসঙ্গে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বাম ছাত্র সংগঠন৷

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐশী ঘোষের দাবি, ছবি দেখালেই অভিযোগ প্রমাণ হয়ে যায় না৷  সন্দেহভাজনদের তালিকায় রাখা মানেই অভিযুক্ত নয়৷ আমাদের কাছেও তথ্য-প্রমাণ আছে৷ ৩ জানুয়ারি বিবাদ নিয়ে পুলিশ নোটিস পাঠানোর ব্যবস্থা করলেও কেন ছাত্রী হোস্টেলে হামলার ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারল না পুলিশ? হামলার পাঁচ দিন পরও কেন চুপ দিল্লি পুলিশ৷ পুলিশ বলছে তথ্য নেই৷ মূল ঘটনার তদন্ত না করে আমাদের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠিয়ে নজর ঘোরানোর চক্রান্ত চলছে৷

জেএনইউ-কাণ্ডে সিটের প্রধান জয় তিরকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগে থেকেই অশান্তি চলছিল ক্যাম্পাসের মধ্যে৷ জেএনইউ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে৷ ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে৷ তবে, ছাত্রী হোস্টেলের মধ্যে মুখোশধারীদের তাণ্ডবের সময় কোনও ভিডিও বা সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পায়নি পুলিশ৷ ফলে, হামলাকারীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও দাবি পুলিশের৷
দিল্লি পুলিশের সিটের প্রধান জয় তিরকের আরও দাবি, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগেই বিতর্ক ছিল৷ ৩ জানুয়ারি বাম যুব ছাত্র সংগঠন ঝামেলা করে৷ ৪ তারিখ তারাই সার্ভাররুম ভাঙচুর করে৷ ওই দিন ৪টি বাম ছাত্র সংগঠন প্রথম জমায়েত করে৷ ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে জমায়েত হয়৷ ৪ জানুয়ারি চারটি সংগঠনের সদস্যদের গোলমাল করে সার্ভাররুমে ঢুকে ভাঙচুর করে৷ পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়৷ এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ পুলিশের অভিযোগ দায়ের৷

বাম ছাত্র সংগঠনের ৯ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশের দাবি, ক্যাম্পাসে উস্কানি দেওয়া দিয়েছে ন’জন পড়ুয়া৷ চিহ্নিতকারীদের পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছে৷ দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এমএস রনধাওয়া জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে শান্তি বৈঠক চলাকালীন মুখোশধারীদের হামলা চালিয়েছে৷ মুখোশধারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে৷ অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তবে, কারা ছাত্রী হোস্টেলে হামলা চালিয়েছে, অভিযুক্তদের সম্পর্কে কোনও তথ্য পায়নি কেন্দ্রের দিল্লি পুলিশ৷ তবে, জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে বহিরাগতরা৷ কিন্তু, মূল ঘটনায় অভিযুক্তদের না পেয়ে কেন সার্ভার রুম ভাঙচুরের ঘটনায় বাম ছাত্র সংগঠনের ৯ জনকে চিহ্নিত করা হল? পুলিশের জবাব, বাম ছাত্র সংগঠন অশান্তি উস্কে দিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =