রাঁচি: দেশের অষ্টম রাজ্য হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিল ঝাড়খণ্ড। কংগ্রেস শাসিত ঝাড়খণ্ড বৃহস্পতিবার এই সম্মতি প্রত্যাহার করে। দেশে বিজেপি বিরোধী দল শাসিত অন্যান্য অনেক রাজ্যই ইতিমধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে ঝাড়খণ্ড।
কেরল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে সম্মতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার এক দিন পরই সেই রাস্তায় হাঁটল ঝাড়খণ্ড। সরকারের যুগ্ম-সচিব অনিল কুমার সিংহের স্বাক্ষরিত একচি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকার দিল্লির স্পেশাল পুলিশ প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের সম্মতি স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে এনিয়ে তিনি কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। এর আগে, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড় এবং আরও সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান সহ বিরোধী শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তাদের অভিযোগ যে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রান করার জন্য এজেন্সিটিকে ব্যবহার করছে।
ত্রিপুরা এবং মিজোরাম বহু আগে সিবিআইয়ের সাধারণ সম্মতি বাতিল করে দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ববর্তী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু সরকারের পদক্ষেপ অনুসরণ করে ২০১৮ সালে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে। নাইডু এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক মাস পরে নভেম্বরে ২০১৮ সালে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল কেন্দ্রটি নিজের লাভের জন্য এজেন্সিটির বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ণ করছে ও নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করছে। জগমনমোহন রেড্ডি সরকার গত বছর ক্ষমতায় আসার পরে অন্ধ্রপ্রদেশ এই পদক্ষেপকে তুলে নেয়।
সম্প্রতি বিরোধী রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রীয় সরকার এবং সিবিআইয়ের সঙ্গে মতবিরোধের মধ্যে পড়েছে। অভিযোগ সিবিআই যে মামলাগুলিতে তদন্ত করেছে, বিশেষত রাজনৈতিক তদন্ত সেখানেই নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। গত মাসে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই টিভি রেটিং কেলেঙ্কারি তদন্তের জন্য মামলা করার কয়েক ঘণ্টা পরে মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপ নেয়। এই বছরের শুরুর দিকে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তও কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।