নয়াদিল্লি: প্রায় একমাস হল লাদাখ সীমান্তে ভারত চিনের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়েছে। সোমবার রাত থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি্ হয়েছে। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকে প্রথমবার চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর কথা বলার আগেই নের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও সংঘর্ষের পরিস্থিতির জন্য ভারতকেই দায়ী করেছেন।
বুধবার এক বিবৃতিতে ঝাও বলেছেন, ‘ঠিক ভুল তা পরিষ্কার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা চিনের দিকে রয়েছে। তার জন্য চিনকে কোনওভাবে দোষারোপ করা যায় না। চিন ও ভারত দুই জনেই কূটনীতিক স্তরে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’ চিনের তরফে সোমবার ও মঙ্গলবারের ঘটনায় তাদের সেনা নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে। তবে ঠিক কতজন সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
গত এক মাস ধপে চিন সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। কয়েক দশক পরে চিনা সেনাদের জন্য পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারতীয়ে সেনাদের রক্ত ঝরেছে। সোমবার রাতেই লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চিন সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। মঙ্গবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানা যায়, ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। বুধবার সকালে জানা গিয়েছে, চার ভারতীয় সেনাগুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে সীমান্ত লাগোয়া হিমাচল প্রদেশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
সীমান্ত লাগোয়া হিমাচল প্রদেশে চিন হামলা করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশ জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। হিমাচলের লাহোল, স্পিতি ও কিন্নরের গ্রামবাসীদের সুরক্ষা দিতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। লাহোল, স্পিতি ও কিন্নোরের সীমান্তে রয়েছে চিন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে চিনের আগ্রাসন প্রকাশ পেতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে দেশ। চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাপ দেওয়া শুরু করেছে। লাদাখের ঘটনা প্রকাশ পেতেই গুজরাতের আহমেদাবাদের চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ছবি পোড়ানো হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রতীকি হিসেবে চিনের বিভিন্ন ইলেকট্রিক জিনিস পোড়ান হয় বলেও জানা গিয়েছে।