নয়াদিল্লি: ইন্দো-চিন সীমান্ত সংঘাত আবহে সর্বদল বৈঠকে ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি৷ সর্বদল বৈঠকে অংশ দেন দেশের প্রায় ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা৷ অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর গলায় বারবার উঠে এসেছে বদলা নেওয়ার বার্তা৷
সর্বদল বৈঠকের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে চিনকে তুলোধোনা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের কোনও সেনা চৌকি দখল করতে পারেনি চিন৷ চিন আমাদের সীমান্ত পেরোতে পারেনি৷ আমাদের সেনার উপর হামলা চালিয়ে উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী৷ যারা ভারতমাতাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেয়া হয়েছে৷শহিদ জাওয়ানদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা দেশ শহিদ পরিবারের পাশে আছে৷ লাদাখে আমাদের ২০ জন জাওয়ান শহিদ হয়েছেন৷ জাওয়ানদের বলিদান প্রত্যেকে মনে রাখবেন৷
চিনের বিরুদ্ধে ভারতের শক্তি প্রমাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, জল স্থল আকাশ পথে দেশ রক্ষায় যা করার, তাই করবে সেনা৷ ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে তাকানোর শক্তি নেই কারো৷ আমাদের সমস্ত শক্তি আছে৷ এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যে সামরিক বাহিনীকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে চিনকে কূটনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ ভারতের তরফে গত পাঁচ বছরে সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে ভারত৷ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে৷ চিন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে৷ তাদে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে৷ এদিন দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত-চিন কে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে৷ আগামী দিনে দেশের রক্ষায় যা যা করণীয় তা সেনাবাহিনী স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে৷
এদিনে সর্বদল বৈঠকে প্রায় সমস্ত দল কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দেয়৷ সমস্ত বিরোধীদলের তরফে ভারতের বিদেশনীতির ও চিনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া উপর স্বাধীনতার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ সংঘাত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকারের পাশে সমস্ত রাজনৈতিক দল পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়৷