নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে চিনের উপর বীতশ্রদ্ধ গোটা বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় জাপানও। তার উপর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো রয়েছে চিনের আগ্রাসন। সম্প্রতি ভারত-জাপান শীর্ষ সম্মেলনের এক সপ্তাহ আগে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক (METI) ঘোষণা করেছে যে তারা চিন থেকে সরে যাওয়া জাপানি নির্মাতাদের জন্য ভর্তুকির যোগ্যতা অর্জনের একটি মাপকাঠি নির্ধারণ করেছেন। ভারত ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে জাপানি প্রতিষ্ঠান ভর্তুকি পাবে বলে জানিয়েছে তারা। METI-এর এই ঘোষণাটি ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত, স্থিতিশীল সাপ্লাই চেন তৈরিতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক দিন পরে ঘোষিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদায়ী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ১০ সেপ্টেম্বর তাঁদের শেষ ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন করবেন। দুই দেশই SCSA (অধিগ্রহণ ও ক্রস সার্ভিসিং চুক্তি) স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে যা উভয় দেশের সামরিক পরিষেবাগুলিকে রসদ ভাগ করার সুযোগ দেবে। প্রসঙ্গত ভারত জুনে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপানের নেতা তাঁর মেয়াদকালে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বড় পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মোদীর শেষ বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। শীর্ষ সম্মেলনটি এমন সময়েও ঘোষিত হয় যখন ভারত ও জাপান উভয়ই চিনের সঙ্গে পৃথক পৃথক টানাপোড়েনের মধ্যে আটকে রয়েছে। এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উল্লিখিত দিন মস্কোয় থাকবেন SCO'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের জন্য। যেখানে তিনি তাঁর চিনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ইয়ের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নবান্নে পালিত পুলিশ দিবস, পুলিশকর্মীদের অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
SCRI (সাপ্লাই চেইন রেসিলিয়েন্স ইনিশিয়েটিভ) এর বিকল্প সরবরাহের চেন তৈরি করতে চায়। বুধবার অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল বলেছিলেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ মূল্য ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত সমস্ত ঝুঁকি পর্যালচনার জন্য সরবরাহ চেনের বিবিধকরণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নির্ভরযোগ্য, দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ এবং উপযুক্ত দক্ষতার নেটওয়ার্ক তৈরি করে এই অঞ্চলে চেনগুলি সংযোগের মূল পথটি খুঁজে বের করার কথাও বলেন তিনি। জাপান সরকারের এই ঘোষণাটি চিনের বিকল্প খুঁজছে। এখন জাপানি সংস্থাগুলি আকৃষ্ট করতে ভারতের উপর নজর বাড়িয়ে দেবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে আইটি-আইটিইএস, এআই এবং আইওটির মতো প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলি রাসায়নিক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ হিসাবে সুবিধা করতে পারে। জাপানি সূত্র জানিয়েছে, জাপানি সংস্থাগুলির এখানে বিনিয়োগ সহজ করার জন্য ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখার জন্য টোকিও অপেক্ষা করেছে।