কলকাতা: আতঙ্কের নাম এখন ফনি৷ নামকরণটি করেছে বাংলাদেশ৷ গত অক্টোবর মাসে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে যে ‘তিতলি’ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে এসেছিল, সেটির নামকরণ করেছিল পাকিস্তান৷ ফনির পর যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হবে, তার নাম দেবে ভারত। এখনও জন্ম না হলেও সেটির নাম ‘বায়ু’ হবে, এটা ঠিক হয়ে আছে।
এর আগেও একাধিকবার বার প্রকৃতির রোষের মুখে পড়েছে বাংলা৷ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সর্বশেষ যে বড় ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি আছড়ে পড়েছিল, সেটা ছিল ‘আইলা’। ২০০৯ সালের ২৬ মে সুন্দরবনে আছড়ে পড়া ওই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছিল মালদ্বীপ। ফনির তূলনায় অনেক দুর্বল ছিল ‘আইলা’। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার ছিল। ‘আইলা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছিল৷
২০০৭ সালে অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগের ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে। মারা গিয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। এর নামকরণ করেছিল ওমান।
ভারতীয় উপমহাদেশে অন্যতম বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল ওড়িশার পারাদীপে। ১৯৯৯ সালের ওই ঘূর্ণিঝড়ে মারা গিয়ছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষ। অবশ্য তখন নামকরণ শুরু হয়নি৷ তাই ওই ঘূর্ণিঝড়টির পরিচিতি এখনও ওড়িশার সুপার সাইক্লোন হিসেবে৷ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় আড়ইশো কিলোমিটার ছাড়ালে সেটিকে সুপার সাইক্লোনের অ্যাখা দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ দু’শো কিলোমিটারের কোটা ছাড়ালেও ২৫০ অতিক্রম করেনি। তা সত্ত্বেও তার দাপটে মায়ানমারের লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়। নার্গিসের নাম দিয়েছিল পাকিস্তান।
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফাইলিন’ ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল সেটিরও ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগ ছিল। লোকজনকে আগাম সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় প্রাণহানি অবশ্য অনেক কম হয়েছিল। ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছিল থাইল্যান্ড।