কানপুর: বৃহস্পতিবার সকালে কানপুর, মুম্বই এবং গুজরাটে একযোগে অভিযান শুরু হয়। পীযূষ জৈন নামের এক পারফিউম ব্যবসায়ীর বাড়ি, কারখানা, অফিস, কোল্ড স্টোর এবং পেট্রোল পাম্পে হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ১৫০ কোটি টাকা! তাতেই চক্ষুচড়কগাছ হয়েছিল সকলের। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭৭ কোটি টাকা। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে।
এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আসছিল বহুদিন ধরে। অবশেষে তাঁর দফতর এবং বাড়িতে হানা দিয়ে বড় সাফল্য পায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত টাকা গোনার কাজ চলেছে এবং ওই ব্যবসায়ীর বিভিন্ন দফতরে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর বলছে, এটাই কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি নগদ উদ্ধারের ঘটনা। পাশাপাশি জানান হয়েছে, আধিকারিকরা প্রথমে আনন্দপুরীতে পীযূষের বাড়িতে তল্লাশি চালান। সেখানেই উদ্ধার হয় ১৫০ কোটির নোট। একই সঙ্গে তিনটি টাকা গোনার মেশিন। উদ্ধার হওয়া টাকার বেশিরভাগই ৫০০ টাকার নোট, এ ছাড়া কিছু ২০০০ হাজার টাকার নোট রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পীযূষ জৈন নামের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি বিভিন্ন কোম্পানিকে সামনে রেখে কর ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন বহু দিন ধরে। বর্তমানে আনন্দপুরীর বাসিন্দা পীযূষ জৈন মূলত কনৌজের ছিপট্টির বাসিন্দা। তিনি কনৌজে একটি বাড়ি, পারফিউম ফ্যাক্টরি, কোল্ড স্টোর, পেট্রোল পাম্পেরও মালিক। এদিকে মুম্বইতে আবার তার একটি বাড়ি, হেড অফিস এবং শোরুম রয়েছে। পাশাপাশি আয়কর দফতরের অনুমান, পীযূষ জৈনের প্রায় ৪০ টি কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে দুটি মধ্যপ্রাচ্যে।