নয়াদিল্লি: বুধবার দুপুরে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ভেঙে পড়ে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের চপার৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সিডিএস, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা সহ ১৩ জনের৷ কিন্তু দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, তা খুঁজে বার করা বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
আরও পড়ুন- দেশের কপ্টার দুর্ঘটনার ইতিহাস কার্যত ভয়ানক! গিয়েছে অনেক প্রাণ
বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্তারা বলছেন, সুলুর বেস ক্যাম্প থেকে কুন্নুর ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের মধ্যে প্রায়ই কপ্টার যাতায়াত করে। এর মধ্যে ভিআইপি চপারও থাকে। নীলগিরি পর্বতের উপর দিয়ে চপারগুলো যায়৷ এখানে নীলগিরির উচ্চতা বেশি নয়। বুধবার জঙ্গল ও চা-বাগানের মধ্যে চপারটি ভেঙে পড়ার পরেই এমআই-১৭ভিফাইভ চপারটিতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়৷ যে ভাবে চপারটি পুড়ে গিয়েছে তাতে দুর্ঘটনার আসল কারণ খোঁজা কঠিন হয়ে পড়েছে৷ বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর (এরোস্পেস সেফটি) কার্তিকেয় কাল মনে করছেন, যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ার পরে পাইলট চপারকে নামানোর মতো কোনও সমতল খুঁজে পাননি৷ কারণ নীচে ছিল জঙ্গল, চা-বাগান ও পাহাড়ের খাদ৷ সেই কারণেই চপারটি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান৷ বায়ুসেনা বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মাটিতে ভেঙে পড়ার আগে গাছেও ধাক্কা খেয়েছিল চপারটি৷
প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তারা ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়ো দেখে মনে করছেন, জ্বালানির ট্যাঙ্কার ভেঙে তেল বেরিয়ে আসায় ভয়ঙ্কর ভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর চপারের মূল পাখার দিকের রোটাহেড ও লেজের দিকের টেলবুমের কিছু অংশ দেখা গিয়েছে। টেলবুমের উরর চপারের নম্বরটিও (জেডপি ৫১৬৪) দেখা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বায়ুসেনা৷ অকুস্থলে পৌঁছেছেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরি৷