isro
নয়াদিল্লি: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে ভারত বিশ্বের বুকে অনন্য নজির আগেই সৃষ্টি করেছে। এবার বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে ইসরোর সূর্য মিশনের দিকে। গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে সূর্যের পথে পাড়ি দেয় আদিত্য-এল১। ইতিমধ্যেই সেটি পৃথিবীর কাছে মোট পাঁচটি কক্ষপথ বদলের পর মাধ্যাকর্ষণ টান কাটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ইসরো জানালো, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ভারতের এই সৌরযান।
ভারতের এই সূর্য মিশন সম্পর্কে সম্প্রতি ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘আদিত্য এল১’-এর পৃথিবী থেকে এল১ পয়েন্টে পৌঁছতে আর মোটামুটি ১১০ দিন সময় লাগবে। আপাতত সেটি একদম সঠিক কাজ করছে। অনুমান করা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিই নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রবেশ করবে সেটি। প্রসঙ্গত, এল১ মানে হল ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১৷ আদিত্যর গন্তব্য পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যবর্তী এই পয়েন্ট। তবে এমনও আরও চারটি পয়েন্ট আছে। যদিও ইসরো জানিয়েছে, ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট১ বা এল১ পয়েন্টের চারদিকে হ্যালো কক্ষপথ থেকে সৌরযানটি কাজ করবে৷
কিন্তু মোট পাঁচটি পয়েন্টের মধ্যে কেন এল১ পয়েন্টকেই বেছে নেওয়া হল? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে থাকে এই এল১ পয়েন্ট থেকেই মহাজাগতীয় বস্তু নিপুণ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। তাছাড়া এই পয়েন্টে গিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যালান্স হয়ে যায়। এই অঞ্চলে যে কোনও স্পেসক্রাফট স্বল্প জ্বালানিতে দীর্ঘসময় স্থির হয়ে থাকতে পারে। ওই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে কাছ নিরীক্ষণ করাও সম্ভব। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে সূর্য ও পৃথিবীর আকর্ষণ সরাসরি পড়বে না স্পেসক্রাফ্টে। ফলে সেটি সূর্যের দিকে যেমন এগিয়ে যাবে না, আবার পৃথিবীর দিকে পিছিয়েও আসবে না। এছাড়া সূর্যের তেজও কোনও ক্ষতি করতে পারবে না৷