একাধিক সিনেমার বাজেট থেকে সস্তা চন্দ্রযান-৩ অভিযান! ‘ম্যাজিক’ দেখালো ISRO

একাধিক সিনেমার বাজেট থেকে সস্তা চন্দ্রযান-৩ অভিযান! ‘ম্যাজিক’ দেখালো ISRO

নয়াদিল্লি: ২৩ আগস্ট, ২০২৩। নতুন ইতিহাস লিখেছে ভারত। বুধবার চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো তালিকায় চতুর্থ স্থানে নাম লিখিয়েছে দেশ। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম অবতরণ করেছে। অতীতে বহু দেশ এই কাজ করার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। চন্দ্রযান ৩-এর সঙ্গেই জোর টক্কর দিচ্ছিল রাশিয়ার লুনা-২৫। কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র এই বিষয়টি যে চমকপ্রদ তা নয়। আরও বড় চমকের ব্যাপার হল, ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর বাজেট। অন্যান্য যে কোনও দেশ ছাড়ুন, বহু সিনেমার বাজেটের থেকে কম বাজেটে ভারত চাঁদে পৌঁছেছে। 

হলিউড ছেড়ে দিন, বলিউডের নির্দিষ্ট কিছু সিনেমার বাজেটের থেকেও কম বাজেট ছিল চন্দ্রযান ৩ অভিযানের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইসরো সূত্রে খবর, চন্দ্রযান-৩ অভিযানে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মোট খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। চন্দ্রযান-১ এবং চন্দ্রযান-২ খুব ব্যয়বহুল না হলেও তাদের বাজেট এর থেকে কিছুটা বেশিই ছিল। কিন্তু জানতে অবাক হতে হয়, এই বাজেটের থেকে বেশি বাজেট দিয়ে হলিউডের একাধিক ছবি তৈরি হয়। কোনও ছবির বাজেট হয় দেড় হাজার কোটি, কোনও ছবির বাজেট আবার ২ হাজার কোটি। ভারতের মধ্যেই সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এক ছবির বাজেট ছিল ৭০০ কোটি টাকা। তার থেকেও কম টাকায় দেশ চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১২ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এই অর্থ আগের তুলনায় কম। অন্যদিকে, চন্দ্রযান-২-এর জন্য ৯৭৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। এবার চন্দ্রযান ৩ তার থেকে প্রায় ৩০০ কোটি কম খরচেই বাজিমাত করেছে। আমেরিকা বা রাশিয়া চাঁদের অভিযানে যে অর্থ খরচ করে, তার তুলনায় এই অর্থ অনেকটাই কম। তবে চাঁদে পৌঁছনোর জন্য যে তা যথেষ্ট তা প্রমাণ করে দিয়েছে ইসরো।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *