নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই নয়াদিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কেউ আহত বা নিহত না হলেও বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দেশে, একইসঙ্গে ইজরায়েলেও। ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এদিন ফের একবার তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানালেন তিনি।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিস্ফোরণ পরবর্তী পরিস্থিতি দারুণভাবে সামলানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন তিনি বলে সূত্রের খবর। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক, কূটনীতিবিদ এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি বিস্ফোরণের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের দূতাবাস থেকে কমপক্ষে ৪০-৫০ মিটার দূরে ‘জিন্দাল হাউস’ নামে একটি বেসরকারি ফার্মের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তার মূড়ে ফেলা হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় নাকাবন্দি করে শুরু হয় তল্লাশি। ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এআইএ। জানা গিয়েছে, ইজরায়লি দূতাবাস থেকে কয়েক শো মিটার দূরে একটি চলন্ত গাড়ি প্যাকেট ছুড়ে বোমা ফেলে সেখানে। সেই প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা গিয়েছিল একটি চিঠি যাতে লেখা ছিল, ‘এটি একটি ট্রেলার মাত্র’। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, যে প্যাকেট ছোড়া হয়েছিল ওই প্যাকেটের মধ্যেই ছিল বোমা। তার সঙ্গে ছিল একটি চিঠি যেটি পরবর্তী ক্ষেত্রে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, এটা শুধুমাত্র একটা ট্রেলার। জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার বদলা নেওয়া হবে! প্রাথমিক অনুমান, ইজরাইলি রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করেই এই হুমকি চিঠি এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ইরানের যোগসাজশ রয়েছে বলে ধারণা।