নয়াদিল্লি: আসছে ভোট৷ তার আগে জঙ্গলমহলে বেড়েছে মাও উপদ্রব৷ মাও উপদ্রব রুখতে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসন৷ বাংলায় যে কোন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন৷ রয়েছে কড়া নজরদারি৷ কিন্তু, কড়া নজরদারি চললেও রাজ্য প্রশ্নের চিন্তা বাড়িয়ে বাংলা তথা দেশে জঙ্গি সক্রিয়াতা নিয়ে সংসদে লিখিত বিবৃতি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ কেন্দ্রের নয়া জবাবে নতুন করে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ৷
সংসদে লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলায় অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য৷ রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে এমনই তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী৷
আজ রাজ্যসভায় আইএস সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান সাংসদ বিনয় পি সহস্রবুদ্ধ৷ প্রশ্ন করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডিকে৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দেশজুড়ে কোথায় কোথায় সক্রিয়তা বাড়িয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস জঙ্গি সংগঠনে? সক্রিয় হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে? সংসদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, আইএস মূলত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ সেখানে বেশ কিছু রাজ্যের নাম তুলে ধরেছেন তিনি৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ ১১ রাজ্যে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে আইএস৷ লিখিত জবাবে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী৷
তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আইএএস সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ এখনও পর্যন্ত ১৭টি মামলা দায়ের করেছে এনআইএ৷ শতাধিক ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ যদিও আইএস জঙ্গি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারির খবর নেই৷ তবে, গ্রেফতারি না হলেও পশ্চিমবঙ্গের সক্রিয় হয়ে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ জানানো হয়েছে, ইউএপিএ আইনে ইতিমধ্যেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগে একাধিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে জঙ্গি কার্যকলাপ কীভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্র৷