নয়াদিল্লি: গতকাল মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ দিয়েছে ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত সহ ১৩ জনের। সিডিএস রাওয়াতের মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হলেও এখন এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে কারণ ঠিক কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। ‘ব্ল্যাক বক্স’ উদ্ধার করা গেলেও এখনো সেই ভাবে কোনো স্পষ্ট তথ্য সামনে আসেনি। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই দুর্ঘটনাকে নেহাতই দুর্ঘটনা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। অনুমান করা হচ্ছে যে এই ঘটনার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে, তাও আবার চিনের। শুধু তাই নয়, বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা তাইওয়ানের এক সেনা প্রধানের মৃত্যুর মিল পাচ্ছেন।
ঘটনা হল, একদিকে যেমন সন্ত্রাস দমন অভিযানে পারদর্শী ছিলেন বিপিন রাওয়াত, ঠিক তেমনি বেজিং প্রশাসনের বাহিনীকে রুখতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। বরাবর লালফৌজের জারিজুরি রাখতে সক্ষম ছিলেন তিনি। অরুণাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে উত্তরাখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশ, এমনকি ডোকালাম ইস্যুতেও বিরাট সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন বিপিন রাওয়াত। এক কথায় বলা যেতে পারে, চিনের সেনাবাহিনীর যে কোনও রকম আগ্রাসী মনোভাব ভেঙে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ করতেই হয় গালওয়ান ভ্যালির ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের কথা। সেই সময়ে বেজিং প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন সিডিএস রাওয়াত। তাই মনে করা হচ্ছে, এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পেছনে লাল ফৌজের হাত থাকলেও থাকতে পারে।
এই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় কারণ তাইওয়ানের এক কপ্টার দুর্ঘটনার সঙ্গে গতকালের ঘটনার মিল পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে নিজেদের জমি বলে দাবি করে এসেছিল চিন। কিন্তু বেজিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সেই দেশের চিফ অব জেনারেল স্টাফ শেন ইয়েমিন। রহস্যজনকভাবে ২০২০ সালে টাইপের কাছে পাহাড়ি এলাকায় চপার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর এবং আরো ৭ জন সেনা কর্তার। আর গতকাল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেই প্রাণ গিয়েছে ১১ সেনা আধিকারিকের।