দিল্লির তিন সীমান্তে বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা! গুলি চালানোর অভিযোগ

দিল্লির তিন সীমান্তে বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা! গুলি চালানোর অভিযোগ

0a6cc2d23e835e081b4b0cae3878729c

নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারের ৩ টি নব-সংযোজিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে সাধারণতন্ত্র দিবসের সকাল থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে দেশের রাজধানী দিল্লির পরিবেশ। পুলিশ-কৃষক ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ক্রমেই। আর এই আন্দোলন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে এবং ইন্টারনেট মাধ্যমে হিংসা ছড়ানো রুখতে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর থেকে দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছিল, তাই দুপুর ৩.৩০ নাগাদ দিল্লির সিংঘু, টিকরি এবং গাজীপুর সীমান্ত, যেখানে কৃষক ক্যাম্পগুলি অবস্থিত, সেখানে বিচ্ছিন্ন হল ইন্টারনেট পরিষেবা।

উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশের সময়ের বন্ধনী অমান্য করে সকাল থেকে দিল্লির তিন প্রান্ত: সিংঘু, টিকরি ও গাজীপুর থেকে রাজধানীর পথে মেগা ট্রাক্টর র‍্যালি করে অগ্রসর হতে শুরু করে প্রতিবাদী কৃষকরা। বেশ কিছু জায়গায় এই মেগা ট্রাক্টর র‍্যালি পুলিশের ব্যারিকেড দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে শুরু হয় ব্যারিকেড ভাঙার প্রচেষ্টা। অনেক কৃষক হাতে করে সিমেন্টের ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের উপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।

পুলিশের বাধাদানের প্রতিবাদে গাজীপুর সীমান্তের কিছু এলাকায় কৃষকরা তরোয়াল নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় বলেও জানা গেছে। তারপর পরিস্থিতি আরো জটিল হয় এবং কিছু কৃষক লালকেল্লায় প্রবেশ করে সেখানে তাদের পতাকা উড়িয়ে দেয়। এরপর পুলিশ তাদের উপর আরো ক্ষিপ্রভাবে চড়াও হয় এবং তৎক্ষণাৎ লালকেল্লা থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের সরিয়ে সেই জায়গা খালি করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এই কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে একটি শান্তিপূর্ণ ট্রাক্টর র‍্যালি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার ঘোষণা আর র‍্যালির বর্তমান চিত্রটা সম্পুর্ন উল্টোপথে হাঁটছে। এই অবস্থায় এই অশান্ত রাজধানীকে পুনরায় শান্ত করতে কেন্দ্র কি পদক্ষেপ নেয় তাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *