ওয়াশিংটন: বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ ইতিমধ্যে বিশ্বে করোনায় ছয় লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন৷ সব থেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন আমেরিকায়৷ আমেরিকায় এই সংখ্যা লক্ষাধিক৷ মৃত্যু সব থেকে বেশি হয়েছে ইতালিতে৷ শুধু ইতালিতে প্রায় নয় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ করোনা আক্রান্তের জেরে বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে৷ রিসেসশন যে শুরু হবে তা অনেকেই আশঙ্কা করেছেন৷ সেই রিসেশন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানাল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার৷
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানিয়েছেন, ‘বিশ্বে শুরু হয়ে গেল আর্থিক মন্দা। আর এই মন্দা ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষের থেকেও আরও খারাপ হতে পারে।’ ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ টিরও বেশি দেশ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার থেকে সাহায্য চেয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই স্বল্প আয়ের দেশ। সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার।তবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা ঢাললেই যে বিশ্ব বাজার ঘুরে দাঁড়াবে এমনটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না জর্জিয়েভা। তার কারণ, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপট। তাঁর কথায়, এখনই করোনা ভাইরাসের গলায় লাগাম পরালেই বিশ্ব অর্থবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
মূল প্রশ্ন অন্য জায়গায়। বিশ্ব অর্থনীতির ভিতটাই নড়িয়ে দিয়েছে করোনা। আমদানি-রফতানি বন্ধ। উন্নয়নশীল দেশ থেকে শুরু করে উন্নত দেশ-সবার এখন একটাই লক্ষ্য আগে প্রাণরক্ষা। পরেরটা পরে ভেবে দেখা যাবে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেওয়া যায় দ্রুত করোনার দাপট রোখা সম্ভব হল, তাহলে এই টাকার জোগান হবে কোথা থেকে? আর কেই বা এই টাকা ঢালবে?