নয়াদিল্লি: চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার জোটবদ্ধ হচ্ছে বিশ্ব৷ লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা ও দক্ষিণ চিন সাগরে সক্রিয়তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে৷ চিনকে চাপে ফেলতে ভারতের পাশাপাশি জোট বাঁধতে চলেছে জাপান, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া৷ ভারতের পাশে দাঁড়ায়ি সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া সিংহভাগ দেশ৷
ইতিমধ্যেই চিনা সমুদ্র-আগ্রাসন রুখতে শক্তি প্রয়োগের ঘোষণা করেছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স৷ চিনকে জবাব দিতে ইউরোপকেও পাশে পেতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত৷ হাত বাড়িয়েছে আমেরিকা৷ ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাহন নিয়ে বিশ্বের বহু দেশকে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে ভারত৷ কীভাবে চিন ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়ে, চুক্তি ভেঙেছে, তাও জানানো হয়েছে৷ গোটা বিশ্বের কাছে চিনের হাঁটে হাড়ি ভাঙাড় ভারতের কৌশলে রাতের ঘুম উড়েছে বেজিং প্রশাসনের৷
অন্যদিকে, লাদাখ সীমান্তে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত৷ ৪৫ হাজার সেনা সমাবেশ করা হয়েছে৷ লাদাখের সাব সেক্টর নর্থ, গলওয়ান উপত্যকার পেট্রলিং পয়েন্ট ও হট স্প্রিং এলাকায় বাড়ছে সেনা৷ উত্তেজনা বাড়িয়ে চিনের যুদ্ধবিমান সীমান্তের ১০ কিমির মধ্যে চলে আসতে দেখা গিয়েছে৷ পাল্টা হোটন এয়ারবেসে স্থল থেকে আকাশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ভারত৷ আনা হয়েছে ‘আকাশ’ মিসাইল৷
গত ২২ জুন সেনাস্তরের বৈঠকের লালফৌজ পিছু হটার কথা বলেও লাদাখের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে চিন৷ তাতে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে৷ সেনা সূত্রে খবর, মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি থেকে শুরু করে এয়ার সার্ভিলিয়েন্স রাডার, ফ্রন্টলাইন ফাইটার জেট লাদাখে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী৷ ভারত ও আরব সাগরে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত৷