স্থল, জল, আকাশ- সর্বত্র হামলা চালাতে পারে ভারতের গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমান

স্থল, জল, আকাশ- সর্বত্র হামলা চালাতে পারে ভারতের গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমান

33f4d7a89507f334d00c7c3dc471baa0

নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে রাফালের এই আত্মপ্রকাশকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। অনেক আগে থেকেই ঠিক ছিল তাকে ১৭ নং স্কোয়াড্রনের অংশ করা হবে। অর্থাৎ 'গোল্ডেন অ্যারো'-র অংশ হবে রাফাল। রাফালকে ঘিরে রাখতে এয়ারফোর্স মিডিয়াম রেঞ্জ মডিউলার এয়ার টু গ্রাউন্ট উইপন সিস্টেম তৈরি করেছে ফ্রান্সের বিমানবাহিনী ও নৌসেনার নকশায়।

ভারত সরকার মোট ৩৬টি রাফালের বরাত দিয়েছে ফ্রান্সকে। এর মধ্যে ৬টি বিমান ব্যবহার করা হবে প্রশিক্ষণের জন্য। যদিও যুদ্ধেও তা ব্যবহার করা যাবে। এই ছটি বিমানে দুটি করে আসন থাকবে। রাফালের প্রথম স্কোয়াড্রন যেমন ঠাঁই পেয়েছে আম্বালায়, তেমন পরের ক্সোয়াড্রনের জায়গা হবে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এনডিএ সরকার ফ্রান্সের দ্যাসল্ট অ্যাভিয়েশানের সঙ্গে ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। এর জন্যে বরাদ্দ হয় ৫৯ হাজার কোটি টাকা।

১৯৯৭ সালের পর ভারতীয় বায়ুসেনায় কোনও বিদেশি যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বায়ুসেনার হাতে 'বয়স্ক' যুদ্ধবিমান ছিল। তবে রাফাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে বায়ুসেনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বিশেষত চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার পরিস্থিতিতে ভারতের হাত পোক্ত করবে রাফাল। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের সামরিক একলাফে অনেকটা বাড়বে। দুই ইঞ্জিনের সেই যুদ্ধবিমান স্থল, সমুদ্র, আকাশ – সর্বত্র হামলা চালাতে পারে। শত্রুপক্ষের অবস্থান খুঁজে বের করে তাদের নিশানা করতে পারে।

শুত্রুপক্ষ কোনও এলাকা দখল করে থাকলে সেখানে খুব নীচ থেকে হামলা চালানো কঠিন। সেক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। রাফাল উঁচু থেকেই সেই কাজটা করতে পারে। শত্রুপক্ষকে নিখুঁত নিশানা করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম সেই যুদ্ধবিমান। রাফাল পরমাণু হামলা রুখে দিতে সক্ষম । একইসঙ্গে প্রায় ১০ টন ওজনের অস্ত্র বইতে পারে সেই যুদ্ধবিমান। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একাধিক বৈশিষ্ট্য থাকছে। তাতে র্যা্ডার ওয়ার্নিং রিসিভার থাকছে। যা শত্রুপক্ষের সেই রেডিয়ো সিগনাল চিহ্নিত করতে পারে, যা বিপদসংকুল হতে পারে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের সুবিধা আছে। তাতে ১০ ঘণ্টার ডেটা রেকর্ড করা যাবে। পাইলটদের হেলমেটে যাবতীয় তথ্য দেখার সুবিধা রয়েছে। ইনফ্রারড সার্চ এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম আছে রাফালে। একইসঙ্গে আছে জ্যামার।

চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের উঁচু এলাকার কথা মাথায় রেখে রাফালে কোল্ড ইঞ্জিন স্টার্টের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। তার ফলে উঁচু এলাকায় অনায়াসে উড়ে যেতে পারবে রাফাল। পাশাপাশি নিজের দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের থেকে অনায়াসে দূরে চলে যেতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *