আজ বিকেল: সোনা, সোনা ছাড়া কিছুই দেখেন না তিনিষ কোনও মহিলার সোনার অলঙ্কারের প্রতি আকর্ষণ থাকবে এটা জানা কথা। তাই বলে একজন পুরুষ এমন সোনা প্রেমী হবেন ভাবলেও কেমন যেন লাগে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে সোনার চেনে প্রায় ডুবে থাকা গায়ক বাপ্পি লাহিড়ীর চেহারাটা। সানগ্লাসের সঙ্গে গলা ভর্তি সোনার হার বাপ্পি লাহিড়ির স্টাইল আইকন। এযেন বাপ্পি লাহিড়ীর ডুপ্লিকেট। হ্যাঁ, এবার নামটা তো বলতেই হচ্ছে। প্রশান্ত লক্ষ্মণ সপকল।
পুণের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান প্রশান্ত শৈশব থেকেই সোনার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে থাকেন। সবসময় সোনা পরতে তাংর মন চায়া। বাবা-মায়ের কাছে এনিয়ে কম বায়না করেন না। একে তো ছেলে তায় সংসারের হাজারটা খরচ। এতদিক সামলে ছেলেকে বছর বছর সোনার গয়না গড়িয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাতে কী হয়েছে, বয়স বাড়তেই সেই ইচ্ছে পূরণের রাস্তা নিজেই করে নিলেন। বর্তমানে প্রশান্ত এনএসএস নামের একটি সংস্থা চালান। পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। সেই সব কাজ করেই তিনি নিজের জন্য গড়িয়েছেন একের পর এক সোনার গয়না। আর সেই সব গয়না পরে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল। সবাই তাঁকে বিখ্যাত গায়ক বাপি লাহিড়ীর সঙ্গে তুলনা করতে লেগেছেন। তবে তুলনা হোক বা অন্যকিছু নিজেকে সোনায় মুড়িয়ে উপস্থাপিত করতেও প্রশান্তের জুড়ি নেই। সারা শরীরে সোনার ছোঁয়া, জুতো থেকে শুরু করে গলায় কয়েক পরতের মোটা হার। দশ আঙুলে দশ আঙটি, মোবাইলের কভাও সোনায় চকচক করছে। হাত ভর্তি ব্রেসলেট। সে এক দেখার জিনিস বইকি।
ফেসবুকে নিজের গয়না পরিহিত শরীরের ভিডিও প্রকাশ করেছেন এই যুবক। ভিডিওটিতে তাঁর মুখ দেখা যাচ্ছে না। গদি আঁটা চেয়ারে পায়ের উপরে পা তুলে বসে আছেন প্রশান্ত। একে একে বিভিন্ন অঙ্গে থাকা গয়নার ডিসপ্লে চলছে, যেন স্বর্ণালংকারের প্রদর্শনী হচ্ছে। এভাবে প্রশান্তকে দেখে থমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা।