ভারতের নতুন সশস্ত্র বাহিনী ‘অগ্নিপথ’, ঘোষণা রাজনাথের

ভারতের নতুন সশস্ত্র বাহিনী ‘অগ্নিপথ’, ঘোষণা রাজনাথের

নয়াদিল্লিঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নতুন সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের পরিকল্পনা কেন্দ্রের। মঙ্গলবার উন্মোচিত হল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘোষণা করেন। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ‘অগ্নিপথ'(Agnipath) নিয়ে আলোচনা করতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন তিন বাহিনীর প্রধান। মঙ্গলবার কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প সম্পর্কে জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক।’  জানা যাচ্ছে, দু’ সপ্তাহ আগেই এই প্রকল্পের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। মঙ্গলবার এই প্রকল্পের নিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, নতুন ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে সেনা জওয়ানদের বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে চার বছরের জন্য। সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সি ৪৫ হাজার ভারতীয় যুবক-যুবতী এই প্রকল্পের অধীনে কাজের সুযোগ পাবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বলে এদিন জানিয়েছেন রাজনাথ সিং।

জানা যাচ্ছে, এই চার বছরের জন্য যাদের সেনাবাহিনীতে নিজুক্তকর হবে তাঁদের ছ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পর তাদের বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। চারবছর বাদে এই ৪৫ হাজারের মধ্যে থেকে মাত্র ২৫ শতাংশকে রেগুলার ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাদের চাকরির মেয়াদ বেড়ে হবে ১৫ বছর। তবে এদের কাউকেই অফিসার পদমর্যায় নিয়োগ করা হবে না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা নিযুক্ত হবেন তাঁদের মাসিক বেতন হবে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার। অবসরে তারা পাবেন পেনসন।  বাকি, অর্থাৎ যারা রেগুলার ক্যাডারে জায়গা হবে না তাদের এককালীন ১১ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে। কিন্তু রেগুলার ক্যাডারে থাকার যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা বাকিরা পেয়ে থাকেন, এরা সেই সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

তবে ইতিমধ্যেই এই নিয়োগ পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে একাধিক বিতর্ক। কারণ এক্ষেত্রে প্রাক্তন জওয়ান এবং অফিসারদের বক্তব্য, সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে গেলে, সেটা ভারতীয় সেনা বাহিনীই হোক বা অন্য কোনও দেশের,  তাঁদের জন্য ছয় মাসের প্রশিক্ষণ যথেষ্ঠ নয়।  তাছাড়া, যারা রেগুলার ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারলেন না, তাদের কী কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। অন্যদিকে একাংশের দাবি, এই প্রকল্প সেনাবাহিনীর দেশভক্তি এবং পেশাদারিত্বে প্রভাব ফেলতে পারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *