রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র, রাজ্যে পরিস্থিতি কি?

রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র, রাজ্যে পরিস্থিতি কি?

নয়াদিল্লি:  দেশের ৭৩৩টি জেলাকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে ভাগ করে নয়া তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই তালিকায় কলকাতা-সহ দেশের সব কটি মেট্রো সিটিই থাকছে রেড জোনের আওতায়। অর্থাৎ ৩ মে লকডাউন উঠলেও কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং আমদাবাদে থাকবে আগের মতোই নজরদারি৷

দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। রেড জোন এলাকাগুলিতে তার পরেও যে লকডাউন উঠবে না, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল৷ কিন্তু অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনগুলিতে কী ভাবে বা লকডাউন কতটা শিথিল করা হবে তা ঠিক করতেই নতুন রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা ঘোষণা করল কেন্দ্র। এই তালিকা অনুযায়ী দেশে ১৩০টি রেড জোন, ২৮৪টি অরেঞ্জ জোন এবং ৩১৯টি গ্রিন জোন রয়েছে৷ ৩ মে’র পরেও রেড জোনগুলিতে কোনও ছাড় মিলবে না বলেই সাফ জানানো হয়েছে৷ 

উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের অধিকাংশ জেলাই রেড জোনের তালিকাভুক্ত৷ যোগি আদিত্যনাথের রাজ্যে ৭৫টি জেলার মধ্যে ১৯টি এবং মহারাষ্ট্রের ১৪টি জেলা রয়েছে রেড জোন তালিকায়৷ এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ এর পর রয়েছে তামিলনাড়ুর ১২টি জেলা এবং দিল্লির ১১টি জেলা৷ এই জেলাগুলি ‘নো অ্যাকটিভিটি’ জোন বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ অরেঞ্জ তালিকায় রয়েছে বিহারের ২০টি, তামিলনাড়ুতে ২৪, রাজস্থানে ১৯, পঞ্জাবে ১৫টি এবং মধ্যপ্রদেশের ১৬টি জেলা।

পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার মধ্যে ১০টি জেলা রয়েছে রেড জোনের তালিকায়। ৫টি জেলা অরেঞ্জ এবং৮টি জেলায় করোনা সংক্রমণ নেই, অর্থাৎ এগুলি রয়েছে গ্রিন জোনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রকাশিত তালিকা খতিয়ে দেখে নতুন কোনও জেলা রেড, অরেঞ্জ বা গ্রিন জোনে রাখতে পারে বলেও জানানো হয়েছে৷ প্রতি সপ্তাহে এই তালিকা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র৷ রাজ্যগুলির সঙ্গে সংযোগ রেখেই পরবজর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *