নয়াদিল্লি: মহাকাশ গবেষণায় নতুন ইতিহাস লিখে বেসরকারি সংস্থা স্পেস এক্স-এর তৈরি ড্রাগনে চেপে প্রথম আন্তজার্তিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছিলেন দুই মার্কিন মহাকাশচারী৷ এবার স্কাইরুট এরোস্পেসের হাত ধরে খুলে গেল ভারতের মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত৷ সম্প্রতি হায়দরাবাদ ভিত্তিক স্টার্ট-আপ কোম্পানি “স্কাইরুট এরোস্পেস” আনতে চলেছে লঞ্চ ভেসিকল বিক্রম-১৷ শুরু হয়ে গিয়েছে উৎপাদন প্রক্রিয়া৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রথম লঞ্চ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ‘বাবা এখনও বেঁচে আছেন’, প্রণব ‘মৃত্যু’র গুজব রুখতে আর্জি অভিজিৎ-শর্মিষ্ঠার
দুই বছর আগে স্কাইরুট প্রতিষ্ঠা করে বিজ্ঞানীদের একটি টিম৷ এই টিমে রয়েছেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার (ইসরো)-এর প্রাক্তন সিইও এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা পবন কুমার চন্দনা৷ এখনও পর্যন্ত এই স্টার্ট-আপ সংস্থা ৪.৩ মিলিয়ন ডলার তুলতে সক্ষম হয়েছে৷ সম্প্রতি একটি টুইট বার্তায় স্কাইরুটের তরফে উচ্চ পর্যায়ের রকেট ইঞ্জিন 'রমনের’ সফল পরীক্ষার কথা জানানো হয়েছে৷ বিক্রম-১ এরই ডাকনাম রমেন৷ ভারতের নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী সিভি রমেনের নামে এই নামকরণ করা হয়েছে৷ এর আপার স্টেজ ইঞ্জিনের সফলভাবে ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে৷
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়া রেকর্ড গড়লেন মোদী, ভাঙলেন বাজপেয়ীর রেকর্ড
গত কয়েক বছর থেকেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একের পর এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে ভারত। এই সময়ের মধ্যে ভারত একাধিক মহাকাশ যাত্রায় অবতীর্ণ হয়েছে, যেখানে নাসা বা রোসকোমোসের থেকে খরচের পরিমাণ কয়েক গুণ কমে গিয়েছে। যদিও এই সমস্ত পরিকল্পনাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর হাত ধরেই সম্পন্ন হয়েছে। এই ক্ষেত্রে এবার স্কাইরুট এরোস্পেস নয়া দিগন্ত খুলতে চলেছে বলেই অনুমান৷
বর্তমানে গোটা বিশ্বে যে ভাবে ছোটো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চাহিদা বাড়ছে সেই দিকটা মাথায় রেখেই এই রকেট বানানো হয়েছে বলে স্কাইরুটের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী ছ’মাসের দুটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করবে স্কাইরুট৷ এছাড়াও বিক্রম-২ এবং বিক্রম-৩ নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকল তৈরির দিকেও অগ্রসর হচ্ছে স্কাইরুট৷ ২০২২-২৩ সালের মধ্যেই এগুলি তৈরি হয়ে যাবে৷