নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তানে যে কোনও মুহূর্তে লেগে যেতে পারে যুদ্ধ। নেপথ্যে থাকতে পারে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা। এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পুরোপুরি যুদ্ধের খেলায় মেতে উঠতে পারে। এর ফলে দুই দেশের প্রায় ৫ থেকে ১২ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে মিউনিখ সিকিউরিটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
মিউনিখ সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০২০ তে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব আগের থেকে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দ্বন্দ্বে পরোক্ষভাবে চিন নিজেদের জড়িয়েছে। ভারত ক্রমেই পারমাণবিক শক্তি বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানও সেই দিকে এগোচ্ছে। এরপর রিপোর্টে পুলওয়ামা হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে পুলওয়ামায় আধা সামরিক বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার পরেই দুই দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কাশ্মীরে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে ফল ভয়ানক হতে পারে। জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এতটাই বাড়তে পারে, যে সামরিক সংঘাত পর্যন্ত হতে পারে।
দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত হলে, তার ক্ষতি ঠিক কতটা হতে পারে, রিপোর্টে তার একটা আভাস দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ভারতের অস্ত্রাগারে ১৫০টি ও পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে প্রায় ১০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধে যদি এই সবকটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ১০০ কিলোটন তেজষ্ক্রিয় পদার্থের বিস্ফোরণ ঘটবে। যার জেরে ১৬ থেকে ৩৬ মিলিয়ন টন কালো কার্বন ধোঁয়া নির্গত হবে। এর জেরে সূর্যালোকের আলো ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। জমির উৎপাদনশীলতা ১৪ থেকে ৩০ শতাংশ এবং মহাসাগরের উৎ পাদন শীলতা ৫ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। দুই দেশের যুদ্ধের ফলে ৫ থেকে ১২ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে।