লেহ্: লাদাখ সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় নিরস্ত্র ভারতীয় জওয়ানদের ওপর হামলা চালিয়েছিল চিনা বাহিনী৷ পাল্টা ‘মারতে মারতে মরেছেন ভারতীয় জওয়ান রা’, এমনই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি৷ এবার ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত আবহে ১৯৯৬ সালের চুক্তি ভেঙে নয়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে ভারত৷ প্রয়োজনে হাতে তুলে নেওয়া হবে আস্ত্র৷ চিনের রক্তচাপ বাড়িয়ে এবার নয়া কৌশল নিতে চলেছে ভারতীয় সেনা৷ দেওয়া হতে হাতে সরকারি ছাড়পত্র৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্ত সীমান্তে প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে ভারত৷ এই নিয়ে ছাড়পত্র দিতে পারে কেন্দ্র৷ এই বিষয়ে চলছে উচ্চ পর্যায়ের চর্চা৷ বিনা প্ররোচনায় চিনের হামলার বিরুদ্ধে এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে৷ ইতিমধ্যেই তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে বৈঠকে বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ খবর সূত্রের৷
এলওসি নিয়ে ১৯৯৬ সালের ভারত-চিন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ সেখানে জানানো হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ২ কিলোমিটারের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না৷ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারত ও চিন৷ কিন্তু, মঙ্গলবার রাতে লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নিরস্ত্র ভারতীয় সেনার ওপর বিনা প্ররোচনায় হামলায় চিন৷ নিরস্ত্র অবস্থায় ভারতীয় জওয়না চিনের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালান৷ ২০ জন জানেন শহীদ হন৷ পাল্টা চিনের ৪৫ জন নিহত ও আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
এবার ১৯৯৬ সালের পুরনো চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র৷ লাদাখ সীমান্তে চিন যদি চুক্তি লংঘন করে থাকতে, তাহলে কেন ভারত সেই চুক্তি মানতে যাবে? কেন ভারতীয় সেনাবাহিনী নিরস্ত্র থাকবে? এই নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির৷ এবার ভারতীয় সীমান্ত রক্ষায় পুরনো চুক্তি লংঘন করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কিলোমিটারের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা কার্যত উড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র৷ প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ তবে এই বিষয়ে সরকারি ভাবে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷