মাত্র ৩৫ পয়সার বিনিময়ে ১০ লাখ! রেলযাত্রীরা জেনে নিন কী ভাবে মিলবে সুবিধা

মাত্র ৩৫ পয়সার বিনিময়ে ১০ লাখ! রেলযাত্রীরা জেনে নিন কী ভাবে মিলবে সুবিধা

নয়াদিল্লি: ট্রেনের টিকিট কাটার সময় অনেকেই একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন না৷ কারণ অনেকেই জানেন না যে মাত্র ৩৫ পয়সার বিনিময়ে পাওয়া যায় ১০ লক্ষ টাকার বিমা৷ শুধুমাত্র এই বিষয়টি না জানার কারণে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়৷ উল্লেখ্য, আইআরসিটিসি-র পোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে রেলের টিকিট সংরক্ষণের সময়ে ভাড়ার সঙ্গে মাত্র ৩৫ পয়সা অতিরিক্ত দিলেই বিমার সুবিধা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন- বছরের শুরুতেই শিখরে পৌঁছবে তৃতীয় ঢেউ! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞর

আইআরসিটিসি-র পোর্টাল বা অ্যাপ থেকে টিকিট কাটার সময়ে অবশ্যই এই অপশনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ যাত্রীরা না চাইলে রেল নিজে থেকে এই সুবিধা দেবে না। সেই কারণেই রেল ৩৫ পয়সা কেটেও নেয় না৷ একমাত্র নির্দিষ্ট অপশনে ক্লিক করলেই ৩৫ পয়সার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকার সফর বিমা দেয় আইআরসিটিসি। বলে রাখা ভালো যাত্রী পিছু নয়, একটি টিকিটের জন্য ৩৫ পয়সা দিতে হয়৷ অর্থাৎ, একটি পিএনআর নম্বরের আওতায় ছ’জনের টিকিট কাটা হলে প্রত্যেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা পাবেন৷ 

এই বিমায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্কটাও ভিন্ন৷ যেমন রেল দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি মৃতের দেহ পরিবহনের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়৷ এছাড়াও দুর্ঘটনায় চিরদিনের জন্য পঙ্গু হলেও ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়৷ তবে আংশিক পঙ্গু হলে দেওয়া হয় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা৷ আহতরা চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন৷ 

টিকিট কাটার সময় বিমার সুযোগ নিলেও অনেকেই পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে ভুলে যান৷ টিকিট কাটার সময়ে ‘ট্রাভেল ইন্সিওরেন্স’-এ যাঁরা ক্লিক করেন, তাঁদের ফোনে একটি এসএমএস আসে। বিমা সংস্থার পক্ষ থেকে রেজিস্টার্ড ই-মেল আইডিতে মেলও পাঠানো হয়। সেই মেসেজ বা ই-মেলের মধ্যে পাঠানো হয় একটি লিঙ্ক৷ সেখানে গিয়ে সফর বিমায় নমিনির নাম, পরিচয় দিতে হবে। টিকিট কাটার পরে এই কাজটি না করলে ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে যায়। তবে যাঁরা নমিনেশন ফর্ম পূরণ করেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইনত উত্তরাধিকারীরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিমার অর্থও পাওয়া যায়।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *