নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন উত্তেজনার মধ্যেই বড়সড় পদক্ষেপ করল ভারতীয় রেল৷ সিগনালিং সিস্টেম তৈরির জন্য চিনা সংস্থার সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছিল, তা বাতিল করে দিল ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিএফসিসিআইএল) ৷ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার হামলায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর জবাব বানিজ্যক্ষেত্রে দিল ভারত৷
‘বেজিং ন্যাশনাল রেলওয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট অফ সিগন্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন গ্রুপ’কে যে বরাত দেওয়া হয়েছিল তা বাতিলের কাজ শুরু করেছে ভারতীয় রেল৷ ২০১৬ সালে কানপুর-দীন দয়াল উপাধ্যায় শাখার লাইনে ৪১৭ কিলোমিটার রেলপথে সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশনের যাবতীয় কাজের জন্য ৪৭১ কোটি টাকার বরাত পেয়েছিল চিনের রেল যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী এই সংস্থা৷ এই প্রকল্পে অর্থসাহায্য করছে বিশ্বব্যাঙ্ক। কিন্তু গত ৪ বছরে এই প্রকল্পে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ এগিয়েছে৷ এছাড়াও বরাত অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করেনি ওই সংস্থা৷
ডিএফসিসিআইএল সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই এই সংস্থার কাজে খুশি ছিল না তারা৷ সাইটে সংস্থার ইঞ্জিনিয়র, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী না থাকায় কাজের সমস্যা হচ্ছিল৷ স্থানীয় এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকায় কাজে অগ্রগতি হয়নি৷ যার জেরেই বরাত বাতিল করে দেয় ডিএফসিসিআইএল৷ অন্য সংস্থাকে এই বরাত দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয়েছে৷
অন্যদিকে, টেলিকম মন্ত্রক ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)-কে বলে দিয়েছে, ফোর জি আপগ্রেডের কাজে যেন চিনা পণ্য ব্যবহার করা না হয়৷ একই বার্তা দেওয়া হয়েছে মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (এমটিএনএল)-কে৷ প্রসঙ্গত, ভারতের টেলিকম শিল্প অনেকটাই চিনা যন্ত্রাংশের উপর নির্ভরশীল৷ বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে চিনা পণ্য বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়েছে৷ চিনা সংস্থার তৈরি মোবাইল ফোন, টেলিভিশন সেট ভাঙচুর করে প্রতীকি প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।