স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা হলেই ৭ বছরের জেল, আইন কেন্দ্রের

স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা হলেই ৭ বছরের জেল, আইন কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার খবর আসছে৷ আগেই কেন্দ্রের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল কেন্দ্র৷ এবার চিকিৎসক, নার্স-সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা দিতে নয়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে মহামারী আইন ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র৷ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চিকিত্সআকরাও হামলার ঘটনায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের সবরকম সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। কড়া হাতে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা রুখতে অর্ডিন্যান্স আনল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এবার হামলা করলেই সর্বাধিক ৭ বছরের জেল। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

এদিন জাভড়েকর বলেন, “যখন গোটা দেশ স্বাস্থ্যকর্মীদে কুর্নিশ করছে তখন কিছু মানুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের বারবার আঘাত করছেন। বলছেন, তাঁরাই নাকি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা এই আক্রমণ কিছুতেই বরদাস্ত করব না।” তিনি আরও জানান, ১৮৯৭ সালের মহামারী আইন ফিরিয়ে আনার ফলে চিকিত্স কের হেনস্থায় যুক্ত যে কোনও অপরাধীকে ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। তাঁর কথায়, “এই আইন সমস্ত চিকিত্সাি কর্মীদের বিমার আওতাও আনবে।” এখানেই শেষ নয়। জাভরেকর জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীর গাড়ি বা ক্লিনিকে ভাঙচুর করা হলে বাজার মূল্যের দ্বিগুণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে বাধ্য থাকবে অভিযুক্তকে।

জাভরেকরের কথায়, কোভিডের সংক্রমণ দেশকে বড় সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীরা যাতে কোনওভাবেই নিরাপত্তার অভাব বোধ না করেন তা সুনিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। মহামারী রোগ আইন পাশ হয়েছিল ব্রিটিশ জমানায়। ১৮৯৭ সালে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এই আইন সময়োপযোগী করার দরকার ছিল। তাই সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করেছে।  আপাতত অর্ডিন্যান্সটি রাষ্ট্রপতিভবনে পাঠানো হয়েছে। তিনি স্বাক্ষর করলেই আইনটি বলবত্‍ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 2 =