চিনকে মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত ঘাতক কম্যান্ডো বাহিনী, তাঁদের বিশেষত্ব কী

চিনকে মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত ঘাতক কম্যান্ডো বাহিনী, তাঁদের বিশেষত্ব কী

5f1615f185196906dcefcbf0c32e8925

নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অব্যাহাত উত্তেজনা৷ সীমান্তে ক্রমেই নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত ও চিন৷ ক্রমবর্ধমান এই উত্তেজনার মধ্যেই খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন চিনের সেনা অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য মার্শাল আর্ট ট্রেনার নিয়োগ করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)৷ তিব্বতে লাল ফৌজকে প্রশিক্ষণ দিতে কমপক্ষে ২০ জন মার্শাল ট্রেনার পাঠানো হয়েছে বলে রিপোর্ট৷ তবে যে কোনও রকম আক্রমণের মোক্ষম জবাব দিতে তৈরি ভারত৷ মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নেওয়া চিনা সেনাদের সমুচিত জবাব দিতে লাদাখ সীমান্তে প্রস্তুত ঘাতক কম্যান্ডো৷ 

সেনা আধিকারিক জানান, কর্ণাটকের বেলগাঁমে ৪৩ দিনের একটি বিশেষ ট্রেনিং কোর্স করানো হয় একজন ঘাতক কম্যান্ডোকে৷ প্রশিক্ষণ চলার সময় শারীরিক শক্তি বাড়াতে ৩৫ কেজি ওজন নিয়ে টানা ৪০ কিলোমিটার ছুটতে হয় ঘাতক কম্যান্ডোদের৷ ঘাতক প্ল্যাটুন ভারতের ঐতিহ্যবাহী পদাতিক সেনাবাহিনীর অংশ৷ ব্যাটেলিয়ানের সাহায্য ছাড়াই শক্তিশালী ঘাতক কম্যান্ডোরা তাঁদের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা শত্রুদের উপর পিছন থেকে হামলা চালাতে পারে৷ অস্ত্র প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই কম্যান্ডোদের মল্লযুদ্ধের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়৷ মার্শাল আর্টেও দক্ষ হন ঘাতক কম্যান্ডোরা৷ মরুভূমি ও দুর্গম এলাকার জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাঁদের৷ ঘাতক কম্যান্ডোদের একটি ইউনিটে একজন অফিসার ও একজন জেসিও-সহ ২২ জন কম্যান্ডো থাকেন। ঠিক এমনই আরেকটি দল রিজার্ভে প্রস্তুত থাকে৷ সব মিলিয়ে একটি ইউনিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ জন ঘাতক কম্যান্ডো থাকেন৷ 

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপক্যতায় ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তপ্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা৷ স্থল, জল ও আকাশপথে তিন বাহিনীকেই কড়া নজরদারি চালানোর নির্দশ দেওয়া হয়েছে৷ সীমান্ত লাল ফৌজের মার্শাল আর্ট জানা সেনাদের জবাব দিতে মোতায়েন করা হয়েছে ঘাতক কম্যান্ডোদের৷ তাঁদের কাছে থাকে INSAS অ্যাসল্ট রাইফেলস, একেএম অ্যাসাল্ট রাইফেলস, পিকা জেনারেল পার্পাস মেশিনগান, এম৪ কারবাইন, বি অ্যান্ড টি এমপি৪ সাবমেশিনগান, টিএআর-২১ অ্যাসল্ট রাইফেলস, কার্ল গুস্তাভা রিকইল-লেস রাইফেল, এসভিডি ড্রাগুনভ স্পিনার রাইফেল, এমপি৫ সাবমেরিনগান এবং INSAS লাইট মেশিনগান৷ 

অভিযানের উপর ভিত্তি করে ঘাতক বাহিনীর কাছে থাকে দড়ি, পাহাড়ে ওঠার সামগ্রী, গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার, লেজার টার্গেট ডেজিগনেটর৷ ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় টাইগার হিল দখলে গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ১৮ গ্রেনাডিয়ার যোগেন্দ্র সিং৷ তিনি একজন ঘাতক কম্যান্ডো ছিলেন৷ পরে তাঁকে পরম বীর চক্র দেওয়া হয়৷ ২০১১ সালে জম্মু-কাশ্মীরের গুর্জ সেক্টরে এনকাউন্টারের সময় শহিদ হন লেফটেন্যান্ট নবদীপ সিং৷ তিনিও ছিলেন ঘাতক প্ল্যাটুন কম্যান্ডোর৷ সাহসিকতার জন্য অশোক চক্র দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *