লাদাখ: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পরা লালফৌজের জওয়ানকে চিনের হাতে তুলে দিল ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে চুসুল-মলডো এলাকায় কর্পোরাল ওয়াং ইয়া নামে ওই লালফৌজের জওয়ানকে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিনের সংঘাত অব্যাহত দীর্ঘদিন ধরে৷ কখনও অরুণাচলের অংশকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে, আবার কখনও ডোকালাম নিয়ে৷ কখনও আবার লাদাক সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত। সেই সংঘাতের আবহেই ১৯ অক্টোবর, সোমবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের ডেমচক এলাকায় ঢুকে পরেন চিনের লালফৌজের এক সেনা জওয়ান৷ তাকে আটক করে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর পকেটে থাকা পরিচয়পত্র দেখে জানা যায়, চিনা সেনার ওই জওয়ানের নাম কর্পোরাল ওয়াং ইয়া৷ সরকারিভাবে কোনও দেশের সেনা জওয়ান সীমান্ত পেরিয়ে অন্যদেশে ঢুকে পরলে যে সমস্ত সরকারি বিধি রয়েছে, তা মেনে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়৷ তারপরেই নিয়ম মেনে তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার৷
মঙ্গলবার গভীর রাতেই তাঁকে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সেনা বাহিনীর এক আধিকারিক। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই সেনা জওয়ানের চিকিৎসা করানো হয়েছে৷ কয়েকটি বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ গুপ্তচরবৃত্তির কোনও ব্যাপার নেই৷’’ মঙ্গলবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওই সেনা জওয়ানের মুক্তির দাবি তুলে জানান, তিনি স্থানীয় পশুপালকদের চমরিগাই খুঁজে দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করছিলেন, সেই সময় হারিয়ে যান তিনি৷
প্রায় ৬ মাস ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত, যার মূল বিষয় সীমান্ত সমস্যা। তারমধ্যে চলতি সপ্তাহে একাধিকবার দুই দেশের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। যদিও সীমান্তে উচ্চতর জায়গায় ট্যাঙ্কার সহ নানা ধরণের ভারী অস্ত্রসরঞ্জাম মজুত করার পাশাপাশি প্রায় ৫০ হাজার সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে দুই দেশ৷ এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সপ্তম পর্যায়ের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি৷ যদিও চলতি সপ্তাহেই অষ্টম পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা৷ ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি আপাত ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করছে ভারত৷