নির্ভুল নিশানা, উড়িয়ে দেবে শত্রুর ঘাঁটি! অত্যাধুনিক ‘ভারত ড্রোন’ আনল DRDO

নির্ভুল নিশানা, উড়িয়ে দেবে শত্রুর ঘাঁটি! অত্যাধুনিক ‘ভারত ড্রোন’ আনল DRDO

নয়াদিল্লি: সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক আলোচনার পর গালওয়ান উপত্যকা থেকে পিছু হটেছে লাল ফৌজ৷ তবে ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে সেনা সরাতে নারাজ বেজিং৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই উত্তেজনার মাঝেই সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাতে সেনার হাতে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন তুলে দিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)৷ রেডারের আওতার বাইরে শূন্য থেকে নজর রাখতে পারবে এই ড্রোন৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত’৷

এই ড্রোনে আছে অত্যাধুনিক নাইটভিশন ক্যামেরা। যার সাহায্যে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা শত্রুর প্রতিটা পদক্ষেপ মাপতে পারবে ‘ভারত’৷ গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা শত্রুকেও শনাক্ত করতে পারবে এটি৷ বলাইবাহুল্য, এবার থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের ১,৫৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা থাকবে ‘ভারত’ ড্রোনের নজরে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির নিরিখে এই অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালাতে এই ধরনের ড্রোন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল৷ এই প্রয়োজন মেটাতেই সেনার হাতে ভারত ড্রোন তুলে দিয়েছে ডিআরডিও৷’’ এই ড্রোনটির প্রযুক্তি তৈরি করেছে চণ্ডীগড়ে ডিআরডিও-র একটি ল্যাবে৷ বিশ্বের সবচেয়ে হালকা এবং দ্রুতগামী নজরদারি চালানো ড্রোনের তালিকায় ঢুকে পড়তে পারে ‘ভারত’৷

ডিআরডিও সূত্রে খবর, ‘‘আকারে ছোট হলেও শক্তিশালী এই ড্রোনগুলি যে কোনও স্থানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্ভুল ও স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে৷ এই ড্রোনে আছে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এছাড়াও এর অ্যাডভান্স রিলিজ টেকনোলজি ও ইউনিবডি বায়োমেট্রিক নজরদারি চালানোর জন্য মারাত্মক একটি সমন্বয়৷ অতিপ্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও নজরদারি চালাতে সক্ষম ‘ভারত’ ড্রোন৷ অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়াও কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না ‘ভারতে’র কাজে৷ অনবরত ভিডিয়ো সম্প্রচার করে যেতে পারে এটি৷ প্রয়োজনে দল বেঁধে পাইলট ছাড়াই বালাকোটের মতো এয়ারস্ট্রাইকও করতে পারবে এই ড্রোনগুলি৷ এর গতিবিধি ধরা পড়বে না রেডারেও৷ এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই বাহিনীর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে ‘ভারত’৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − ten =