সেনাকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গরম তাঁবু দিলেন বাস্তবের র‌্যাঞ্চো-সোনম

সেনাকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গরম তাঁবু দিলেন বাস্তবের র‌্যাঞ্চো-সোনম

 

লাদাখ: ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার আমির খানের চরিত্রে কথা মনে আছে? রুপোলি পর্দার সেই ‘ফুংসুক ওয়াংড়ু’। নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে যে লাদাখে তৈরি করেছিল একটি অভিনব বিজ্ঞানভিত্তিক বিদ্যালয়। পর্দার সেই ‘র্যাঞ্চো’র খোঁজ পাওয়া গেল এবার বাস্তবের মাটিতে। লাদাখের চিনা সীমান্তে‌ এক গ্রামের বাসিন্দা সোনম ওয়াংচুক। লাদাখের হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ভারতীয় বীর জওয়ানদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। উপহার দিলেন এক অভিনব তাঁবু। যা হিমশীতল লাদাখে গরমের পরশ দেবে সেনা জওয়ানদের।

হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়া তাপমাত্রা ও প্রতিকূল পরিবেশে কর্তব্যরত ভারতীয় জওয়ানদের গরম রাখতে তাদের অত্যাধুনিক সৌরশক্তি চালিত পোর্টেবল তাবু উপহার দিলেন সোনম ওয়াংচুক। বাইরে যখন পারদ নেমে যাবে -১৪ ডিগ্রির নিচে, তাঁবুর ভেতরে তখনও থাকবে ১৫ ডিগ্রির আরামদায়ক পরিবেশ। এবং তার জন্য কেরোসিন-সহ অন্য কোনও জ্বালানিরও প্রয়োজন হবে না। কমবে দূষণের মাত্রা। সম্পূর্ণভাবে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই অত্যাধুনিক তাবু তৈরি করেছেন লাদাখের ‘ফুংসুখ ওয়াংরু’। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি থাকতে পারবেন এই তাঁবুর ভেতরে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এত বড় তাঁবুটির ওজন ৩০ কেজিরও কম। অতএব খুব সহজেই এই তাঁবু বহন করতে পারবে ভারতীয় সেনা।

জন্মসূত্রে লাদাখি সোনম ওয়াংচুক একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি একজন অসাধারণ উদ্ভাবক ও শিক্ষা সংস্কারক। ১৯৮৮ সালে তিনি শুরু করেন লাদাখের স্টুডেন্টস এডুকেশনাল এন্ড কালচারাল মুভমেন্ট। স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত শিক্ষার বাইরে গিয়ে নতুন জ্ঞানের সঞ্চার করতে একটি ক্যাম্পাসও গড়ে তোলেন তিনি। তার উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে লাদাখের ওই এলাকায় সম্পূর্ণ সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আলো জালানো থেকে রান্না-বান্না সবই চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *