যে কোনও সময় ঘটতে পারে গালওয়ানের পুনরাবৃত্তি, সীমান্তে টহল নিয়ে আলোচনা

যে কোনও সময় ঘটতে পারে গালওয়ানের পুনরাবৃত্তি, সীমান্তে টহল নিয়ে আলোচনা

 

নয়াদিল্লি: কোনও ভাবেই কাটছে না ভারত চিন সম্পর্কের জট৷ সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠকের পরও মেলেনি সমাধান সূত্র৷  কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর চিন সাময়িকভাবে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরালেও, সম্পূর্ণরূপে মানা হয়নি ডিসএনগেজমেন্ট (সেনা পিছু হটা) চুক্তি৷  

গত মে মাস থেকেই লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের দীর্ঘ ১,৫৯৭ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তবে এই উত্তাপ যেন গালওয়ানের পুনরাবৃত্তি না ঘাটায় তা নিয়ে সতর্ক দু’ পক্ষই। গত ১৫ জুন গালওয়ানের পুনরাবৃত্তি চাইছে না ভারত-চিন৷ আর এই কারণেই রবিবার দুই পক্ষের কূটনৈতিক স্তরের বৈঠকে সীমান্তে টহলদারীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন-  পে কমিশন: আরও বেশি DA পেতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা

সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় তৎপর লাল ফৌজ৷ উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ফিঙ্গার ৫ ও ফিঙ্গার ৬-এ রীতিমতো সক্রিয় চিনা সেনা৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার একাধিক বিতর্কিত এলাকায় রাস্তা নির্মাণ, ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন এবং সৌর শক্তি চালিতে বিদ্যুৎ খুঁটি বসানো হচ্ছে৷ যে ভাবে চিন ফিঙ্গার এলাকায় নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে তাতে ফের যে কোনও সময়েই সংঘাতে জড়াতে পারে দু’দেশের সেনা৷ আবার চিনকে যোগ্য জবাব দিতে সীমান্তের এপারে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাও৷  

আরও পড়ুুন – নয়া শিক্ষানীতির ‘ত্রিভাষা নীতি’তে আপত্তি, ‘দ্বিভাষী নীতি’র পক্ষে সওয়াল

এক সিনিয়র সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘‘ ১৯৯৩-১৯৯৬ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ডিনএনগেজমেন্ট (সেনা পিছনো) এবং পরে ডি-এসক্যালেসন (সেনা সংখ্যা কমানো) করা হয়৷ তার পর কিছু কার্যনির্বাহী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে দু’দেশের টহলদার সেনার মধ্যে সংঘর্ষ না হয়৷’’ সাময়িক ভাবে সীমান্তে ডিনএনগেজমেন্ট এবং ডি-এসক্যালেসন হলেও, এর স্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজছেন কূটনীতিকরা৷ 

আরও পড়ুন- এই অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই জীবন প্রমাণ পাবেন পেনশনভোগীরা

হটস্প্রিং থেকে সরে গেলেও, প্যাংগং থেকে সেনা প্রত্যাহারে নারাজ চিন৷ গালওয়ান সংঘর্ষের আগেও চিন প্যাংগং-এ ভারতীয় সীমান্তে টহল দিতে শুরু করেছিল। গালওয়ান থেকে সেনা সরালেও, নতুন করে এই  এলাকায় শক্তপোক্ত ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করেছে লাল ফৌজ৷  

আরও পড়ুন- যোগীর রাজ্যে ‘বেপাত্তা’ প্রায় ১২০০ করোনা রোগী! হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন

 

এদিকে পূর্ব লাদাখে, বিশেষত প্যাংগং এলাকা ও সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকায় শান্তি ফেরানোর উদ্দেশ্যে রবিবার সেনা স্তরে বৈঠকে বসে ভারত ও চিন। কোর কমান্ডার স্তরের এই বৈঠকে মূলত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চালু করার একটি রূপরেখা তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত,  প্যাংগং এলাকাকে কেন্দ্র করেই ফের ভারত-চিন সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে উঠেছে। কথা মতো চিন এখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি৷ এই অঞ্চল থেকে সরার কোনও সদিচ্ছাও দেখায়নি তারা৷ যার জেরেই ফের নতুন করে বৈঠকে বসে দুই দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + eleven =