নয়াদিল্লি: গতকাল জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কোয়াড বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক একাধিক ইস্যু এবং শান্তিরক্ষার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ঠিক তেমনই আবহাওয়া এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে শুরু করে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই চারটি দেশ একসঙ্গে করোনাভাইরাস টিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে। যে প্রেক্ষিতে ভারতে তৈরি হবে করোনাভাইরাস টিকার ১০০ কোটি ডোজ। ২০২২ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চাইছে কোয়াডের সদস্য দেশ গুলি।
ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জ সকলেই ভারতের প্রশংসা করেছে করোনাভাইরাস টিকাকরণ প্রক্রিয়া এবং সরবরাহ নিয়ে। সেই প্রেক্ষিতে এশিয়ার অন্যান্য দেশ গুলিকে টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে আমাদের দেশ। আর এবার এই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার প্রেক্ষিতে, ভারতে বড় মাপের লগ্নি হতে পারে বলেও সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের অন্যতম ৪ শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যে বৈঠক করেছেন তা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশ। এই বৈঠক থেকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন এবং সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়াও কোয়াডের যে উদ্দেশ্য সেটি আদতে ভারতের ‘বসুদেব কুটুম্বকম’ তথা সারা বিশ্বই একটি পরিবার সেই বিশ্বাসের সঙ্গে মিলে যায় বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি গোটা বিশ্বে। সেই প্রেক্ষিতে জানা গিয়েছিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বৈঠকে আর্থিক চুক্তি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগে এখন অগ্রসর হচ্ছে দেশগুলি। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামোকে উন্নত করার জন্য আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামকাণ্ডে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাল কমিশন, দ্বিতীয় দফায় বিপুল প্রার্থীর মনোনয়ন!
উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক এবং রণকৌশলগত ভাবে একাধিক বিষয়ে আলোচনা এবং সমন্বয়ের জন্য একে একে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই দেশগুলি। ১৯৯২ সাল থেকে আমেরিকার সঙ্গে নৌ মহড়া শুরু করেছিল ভারত পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে যোগ দেয় জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। এই প্রেক্ষিতে চিনের দুশ্চিন্তা করা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।কারণ ভারতের সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি করার পর এবং একাধিকবার পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমর্থন করার পর সারা বিশ্বের কার্যত কুনজরে চলে গেছে বেজিং সরকার।