আফগান হিন্দু-শিখদের আশ্রয় দেবে ভারত, সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

আফগান হিন্দু-শিখদের আশ্রয় দেবে ভারত, সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে গতকাল নিজের বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের কী ভাবে দেশে ফেরানো হবে তাই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দু এবং শিখদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এ ব্যাপার স্পষ্ট করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

নিরাপত্তা বিষয়ক যে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক গতকাল হয়েছে তাতে পূর্ব অবস্থান মতোই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করেছেন যে, আফগান হিন্দু এবং শিখদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে ভারত। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ সাহায্য চাইলে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে ইতিমধ্যে প্রায় ১,৭০০ ভারতীয় দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছে এবং তাদের উদ্ধার করতে চার্টার্ড বিমান ভাড়া করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে বিশ্বের বহু দেশ তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি যে জটিল এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও বেশি করে জটিল হবে তা বলাই বাহুল্য। তাই সেখানকার হিন্দু এবং শিখদের ইস্যুতে চটজলদি পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি। 

আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না তারা! স্পষ্ট করল তালিবান

এদিকে, আবার তালিবান প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, তাঁরা কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাবে না। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। সে বলে, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাই সেই ব্যাপারে তালিবানের কোনও নজর নেই। তার কথায়, তালিবান কারোর সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি করতে চায় না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবান যে ভারত এবং পাকিস্তানের ওপরই দায় ছেড়ে দিচ্ছে এটা পরিষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *