নয়াদিল্লি: প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে আজ স্বস্তির দিন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশাল বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটানোর পর আজ দেশে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি। সারা ভারত জুড়ে ৩০০৬ টি কেন্দ্রে হবে টিকাকরণ। এদিন সকাল ১০.৩০ নাগাদ এই টিকাকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে এই উদ্বোধন।
কিছুদিন আগেই ভারতের দুটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ এবং ‘কোভ্যাক্সিন’কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে আপাতত কোনো বিতর্ক না থাকলেও কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নিয়ে বিস্তর বিতর্ক উঠে এসেছে। এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল সম্পন্ন এখনো হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে সরব হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ভারতীয়দের গিনিপিক ভাবা হচ্ছে কিনা। যদিও ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া স্পষ্ট দাবি করেছে যে, দুটি ভ্যাকসিন একদমই নিরাপদ, সামান্যতম সংশয় থাকতে অনুমোদন দেওয়া হত না। এই বিতরকের মধ্যেই আরো একটি নতুন ইস্যু সামনে এসেছে যা আশঙ্কা বাড়িয়েছে দেশবাসীর। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তার দায়ভার কেন্দ্র নেবে না। তাই আপাতত স্বস্তি এবং আশঙ্কা দুয়ের মধ্যে থেকেই ভারতবর্ষের টিকাকরণ অভিযান শুরু হতে চলেছে।
এদিকে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে ভারতের পরিস্থিতি অনেক বেশি ভালো করোনাভাইরাস আবহে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়াই করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। তবে দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি ভালো হলেও কেউ যেন দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে না পড়েন। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়ে দেন, দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সর্তকতা অবলম্বন করা হবে। আপাতত যে দুটি ভ্যাকসিন এসেছে সেই দুটি ভারতের তৈরি, আরো ভ্যাকসিন এলে ভবিষ্যতে অন্য পরিকল্পনা করা যাবে। প্রথম দফায় তিন কোটি ভ্যাকসিন ডোজের খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী এবং পুলিশকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।