এগিয়ে ভারত! দেশের টিকাকরণ প্রক্রিয়া হার মানাল ব্রিটেন, আমেরিকাকেও

এগিয়ে ভারত! দেশের টিকাকরণ প্রক্রিয়া হার মানাল ব্রিটেন, আমেরিকাকেও

 

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের বিশ্ব জোড়া অতিমারীর আবহে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়েছিল জনজীবন। করোনা শুধুমাত্র গোটা পৃথিবীতে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণই নেয় নি, এলোমেলো করে দিয়েছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চেনা ছন্দকেও। এহেন পরিস্থিতিতে এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সংবাদ নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য বয়ে এনেছে স্বস্তির বার্তা। দেশে দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।

আমেরিকা, ব্রিটেনের পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতেও শুরু হয়ে গেছে করোনার টিকাকরণ। কিন্তু ভারতের যে হারে দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশ গুলিকেও হার মানায়, এদিন এমনটাই দাবি করা হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের করোনা টিকাকরণ সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করেন। তাতেই দেখা যায় এখনও পর্যন্ত কত মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশ জুড়ে প্রায় ১৬ লাখের কাছাকাছি করোনা যোদ্ধাকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য হল, প্রথম ৬ দিনেই প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন ভারতে। ভ্যাকসিন বন্টনের এই হার আমেরিকা এবং ব্রিটেনের চেয়ে বেশি। যেখানে ব্রিটেনের ১০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে লেগেছিল প্রায় ১৮ দিন, সেখানে ওই একই কাজে আমেরিকার লেগেছিল ১০ দিন।

দু’একটি মৃদু বিকল্প ছাড়া এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা টিকার বন্টনকে মোটামুটি নির্ঝঞ্ঝাট বলা চলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ক’দিনে মোট ৬ জন স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু তার কোনোটাই করোনা টিকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় বলেই দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, সীমান্তের বাইরে একাধিক দেশেও ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। এদেশে টিকাকরণের প্রথম দিনে গ্রাহকের সংখ্যা ছিল প্রত্যাশার চেয়ে কিছু কম। কিন্তু তারপর থেকেই যথারীতি বাড়তে থাকে টিকা গ্রাহকের সংখ্যা। সূত্রের খবর, টিকাকরণের সপ্তম দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। প্রথম পর্যায়ে কেবলমাত্র চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই কর্মচারী ও পুলিস কর্মীর মতো করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *