কূটনৈতিক পথেই প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানির রোডম্যাপ কেন্দ্রের

কূটনৈতিক পথেই প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানির রোডম্যাপ কেন্দ্রের

 

নয়াদিল্লি: অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে বিশ্বে অনেক দিন ধরেই প্রথম সারিতে রয়েছে ভারত। কিন্তু এবার বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্র, কামান, যুদ্ধে ব্যবহারের হাল্কা হেলিকপ্টার থেকে ভারী পণ্যবাহী বিমান আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সেই সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের রফতানি বাড়াতে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করেছে কেন্দ্র৷ কূটনৈতিক পথেই বিদেশের বাজারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার পন্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বর্ষীয়াণ আধিকারিক৷  

আরও পড়ুন- কোন তথ্যের ভিত্তিতে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ পালন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর? টুইট ঘিরে বিতর্ক

চলতি মাসের গোড়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তিনি জানিয়েছিলেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে প্রথম ধাপে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে বণিকসভা ফিকির আয়োজিত ‘আর্ম মেক প্রজেক্ট ২০২০’-এর বৈঠকে জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব রাজ কুমার৷ আত্মনির্ভর ভারত গড়তে দ্রুত সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি৷ কুমার বলেন, রফতানি প্রচারের জন্য সরকার তার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক, বিভিন্ন দেশে অবস্থিয় ভারতীয় দূতাবাস এবং কূটনৈতিক মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবে৷ যে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সরকার চায় দ্রুত সেগুলি উৎপাদনে ভারতীয় সংস্থাগুলি যেন এগিয়ে আসে৷ উৎপাদন বাড়লে আমাদানিও কমবে৷ আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে ভারত৷ 

আরও পড়ুন – সরকারি চাকরিতে রাজ্যের প্রার্থীদের অধিকার, নয়া আইন আনছেন মুখ্যমন্ত্রী

 

ফিকির সভায় রাজ কুমার আরও বলেন,  ‘‘প্রথম তালিকাটি আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি৷ দ্বিতীয় তালিকাটিও খুব শীঘ্র প্রকাশিত হবে৷ আমরা আশা করব, আপনারা এগিয়ে আসবেন এবং আমাদের লক্ষ্য পূরণে বিনিয়োগ করবেন৷ ভারত যাতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানির ক্ষেত্রেও শীর্ষ স্থানে পৌঁছতে পারে৷ এছাড়াও আমাদের দেশে উৎপাদন শুরু হলে কমবে আমদানি৷ ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থও বাঁচবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *