রান্নার গ্যাসের দামে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্র! বড় বিপর্যয়ের মুখে সাধারণ জনতা

রান্নার গ্যাসের দামে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্র! বড় বিপর্যয়ের মুখে সাধারণ জনতা

নয়াদিল্লি: এবার গ্যাসের দামের উপর থেকেও ধীরে ধীরে সরানো হবে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ৷ শুক্রবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রেলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বিদেশি লগ্নি ও প্রযুক্তি টানতেই এই সিদ্ধান্ত৷ এর ফলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে বলেই জানান পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী৷

ভারত হল বৃহৎ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ৷ এখানে রয়েছে গ্যাসের দাম নির্ধারণের একাধিক ব্যবস্থা৷ এদিন বিএনইএফ সামিটে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘আমরা বিনিয়োগকারীদের ভারতে এসে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ এবং মার্কেটিংয়ের সুযোগ ও স্বাধীনতা দিচ্ছি৷ আমরা আরও বেশি উৎপাদন ও বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে চাই৷’’ 

গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে অধিক সংখ্যক বাড়িকে গ্যাস পাইপ নেটওয়ার্কের আওতায় আনার চেষ্টাও চলছে৷ সম্প্রতি দিল্লি সরকার জানিয়েছে, যানবাহনের জন্য লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি)-এর ব্যবস্থা করার জন্য কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই৷ ভারতের শীর্ষ গ্যাস আমদানিকারক সংস্থা পেট্রোনেট এলএনজি শুক্রবার জানায়, দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকগুলির জন্য হাইওয়ের পাশে অবস্থিত এলএনজি স্টেশনগুলিতে জ্বালানি এবং গ্যাস রিটেলারদের সঙ্গে হাত মেলাতে চায়৷ অন্যদিকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন জানিয়েছে, তারা তাদের ফুয়েল পাম্পগুলিতে এলএনজি-র খুচরো বিক্রি শুরু করতে আগ্রহী৷ 

২০১০ সালের জুন মাসে পেট্রোলের দাম সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে ইউপিএ সরকার। ২০১৪ সালে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর ইউপিএ সরকারের পথে হেঁটেই  ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রণ করে তারা। যার ফলে বিশ্ব বাজারের দামের ওঠা-পড়ার ভিত্তিতেই তেল সংস্থাগুলি প্রতিদিন জ্বালানির দাম ঠিক করে। দামের এই ওঠাপড়ার সঙ্গে সরকারের কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই বলেই দাবি করা হয়। তেলের পর এ বার পালা প্রাকৃতিক গ্যাসের। বর্তমানে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে৷ প্রতি মাসে গ্যাসের মূল্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু সেই নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ 

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের৷ কারণ, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রণ করার সময় বলা হয়েছিল, বাজারের চাহিদা-জোগান অনুযায়ী দাম স্থির হওয়া। কিন্তু, সেই নীতি বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টে সরকারের কোষাগারে যখনই টান পড়েছে, পেট্রোল-ডিজেলের উৎপাদন শুল্ল্ক বা বিক্রয় কর বাড়িয়ে বাড়তি রাজস্ব আদায় করা হয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 3 =