করোনা মোকাবিলায় ভারত কি চিনের পথে হাঁটবে? শুরু নয়া চর্চা!

করোনা মোকাবিলায় ভারত কি চিনের পথে হাঁটবে? শুরু নয়া চর্চা!

নয়াদিল্লি:  ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে কোভিড করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বিশেষজ্ঞ মহলের পূর্বাভাস ছিল, ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন৷ সংক্রমণ রুখতে তাই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেন নমো৷ লকডাউনের আরও একটি কারণ হল বর্তমান স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষমতার মধ্যে বিষয়টিকে আটকে রাখা৷

ভারতের হাতে নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর এবং টেস্টিং কিট৷ নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী এবং তাঁদের সুরক্ষার জন্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)৷  এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় ভারতের প্রধান অস্ত্র ছিল লকডাউন৷

গত বছর নভেম্বর মাসে প্রথম চিনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়৷ ৩০ ডিসেম্বর এই রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করে কানাডার আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘ব্লুডট’৷ এর পরের দিনই উহান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়া এই রোগ সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় বেজিং৷ ৭ জুলাই এটি করোনাভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত হয়৷ এই মহামারি রুখতে রেকর্ড সময়ে করোনা মাহামারির কেন্দ্রস্থলে ১৬টি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করে ফেল চিন৷ ব্যবস্থা করা হয় ১৮ হাজার বেডের৷ প্রতিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী৷ অসংখ্যা ড্রোনের সাহায্যে ছড়ানো হয় জীবাণুনাশক স্প্রে৷ সংক্রমিতদের চিহ্নিত করা ও তাঁরা কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছে তা অনুসরণ করতে চিন তৈরি করে একটি বিগ-ডাটা৷

১০ মার্চের মধ্যে চিনে সংক্রমণ কমতে শুরু করে৷ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করছে চিন৷ ধীর গতিতে হলেও উর্ধমুখী হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি৷ অন্যদিকে ভারতে রয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনাতার অভাব৷ অভাব রয়েছে শিক্ষার৷ যা অর্থনীতির আসল বুনিয়াদ৷ এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে ভারত কি চিনের দেখানো পথে হাঁটবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *