নয়দিল্লি: ২০ জুলাই কুলভূষণের রিভিউ পিটিশনের দিন। তার ঠিক চার দিন আগেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলল ভারত। কুলভূষণ যাদবের নিঃশর্ত কনস্যুলার অ্যাকসেস চাইল ভারত।দিন সাতেক আগেই পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছিল, মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ পিটিশন ফাইল করতে চান না ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী কুলভূষণ যাদব। এই খবর প্রকাশ করার পরেই ভারতের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান চাপ প্রয়োগ করে কুলভূষণকে দিয়ে এক বিবৃতি জোর করে আদায় করেছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল কুলভূষণকে রিভিউ পিটিশনের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রিভিউ পিটিশন দিতে অস্বীকার করে। তিনি মাস পিটিশনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়। সেই সময় পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, কুলভূষণকে কনস্যুলেট অ্যাকসেস দেওয়া হবে। তাছাড়া রিভিউ পিটিশন যএ কুলভূষণ করতে চান না, সেই বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে যাকে রিভিউ পিটিশন করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, পাক সেনার দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার কাছে মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানিয়ে আপিল করেছিলেন কুলভূষণ। কুলভূষণকে পাকিস্তানের বালোচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাকিস্তান অভিযোগ করে, কুলভূষণ পাকিস্তানে ভারতের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত। পাকিস্তানের সেনা আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে ভারত আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই সময় আন্তর্জাতিক আদালত জানায়, কুলভুষণকে রিভিউ পিটিশনের অধিকার ও কনস্যুলেট অ্যাকসেস দিতে হবে।উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে কুলভূষণ যাদবের কনসুলার অ্যাকসেস চেয়ে আসছে ভারত৷ কিন্তু তা মানতে চায়নি পাকিস্তান। পরে আন্তর্জাতিক আদালতে মুখ পোড়ে পাকিস্তানের। জানিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানকে অবশ্যই কনস্যুলার অ্যাকসেস দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এই ইস্যুতে রীতিমত ভৎর্সিত হতে হয় পাকিস্তানকে৷ কুলভূষণ যাদবকে দীর্ঘদিন ধরে সেনা জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাও আবার পাকিস্তানের কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়েছিল তাঁকে বলে আন্তর্জাতিক আদালতে জানিয়ে ছিল ভারত৷