নয়াদিল্লি: দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞ মহলের উদ্বেগের প্রধান কারণ। উল্লেখ্য, ভারতের করোনা পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতের এই লাগাম ছাড়া সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে পরিচিতি নিয়ন্ত্রণে হু প্রধান বুস্টার ডোজের উপর আরও বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় শুক্রবার দেশের দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও উদ্বেগ এখনও রয়েছে। শুক্র সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রের করোনা রিপোর্ট জানান দিচ্ছে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,০৭০ জন। গতকাল যেখানে দেশের করোনা সংক্রমণ ১৩০ দিনের রেকর্ড ভেঙে আঠারো হাজারে পৌঁছেছিল তার থেকে কিছুটা উন্নত হয়েছে পরিস্থিতি। তবে ফের কিছুটা বেড়েছে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। জানা যাচ্ছে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেস আরও ২৬৩৪ বেড়ে এই মুহূর্তে তো দাঁড়িয়ে রয়েছে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৮৯ তে।
একইভাবে এদিন দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা কমেছে গতকালের থেকে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যেখানে দেশের দৈনিক মৃতের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে ৩৭ এ পৌঁছেছিল, এদিন সেই সংখ্যাই কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ এ। মৃত এই ২৩ জনের মধ্যে ১৫ জন কেরলের বাসিন্দা, তিনজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, রাজস্থান এবং বাংলাতে। অন্যদিকে চিকিৎসক মহলকে সামান্য স্বস্তি দিয়ে এদিন কিছুটা বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। জানা গিয়েছে গত একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ৪১৩ জন।
উল্লেখ্য, শুধু ভারত নয় ভারতের বাইরে আরও ১০৯ টি দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই জোরালো হয়েছে যে সম্প্রতি এই সমস্ত দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই সমস্ত দেশের নাগরিকদের লাগামছাড়া আচরণ এবং বুস্টার ডোজে অনিহাই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর তাই সম্প্রতি হু-এর মুখপাত্র এই সমস্ত দেশের সরকারকে বুস্টার ডোজের কর্মসূচি আরও ত্বরান্বিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।