নয়াদিল্লি: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের রিপোর্ট প্রকাশ পেতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। ২০২১ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১১৬টি দেশের মধ্যে ১০১ তম স্থানে রয়েছে ভারত৷ ২০২০ সালে ভারতের স্থান ছিল ৯৪৷ সেই নিরিখে আরও নীচে নেমেছে নরেন্দ্র মোদীর ‘নিউ ইন্ডিয়া’৷ সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য বিষয় হল, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেপাল৷ যদিও এই রিপোর্ট নামতে একেবারেই রাজি নয় নয়াদিল্লি। তাদের মতে, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছে এই রিপোর্ট তৈরিতে। এই রিপোর্ট সঠিক নয়।
কেন্দ্রীয় সরকার এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করেছে ইতিমধ্যেই। সেখানে বলা হয়েছে, বাস্তব ভিত্তি এবং যে পদ্ধতিতে এই ধরনের কাজগুলি এগোয় সে সব নজরে রেখে এই তালিকা তৈরি করা দরকার। এই রিপোর্ট অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ করে বানানো হয়েছে তা একেবারেই সঠিক নয়। ভারতের বক্তব্য, দেশের প্রতিটা মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে সব রকম চেষ্টা করছে কেন্দ্র। কিন্তু ঠিক এই সময় এই ধরণের একটি ‘অবৈজ্ঞানিক’ রিপোর্ট সরকারের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। তাই ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ বা এফএঅ-র আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছেন এই তালিকা৷ যৌথভাবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকা প্রস্তুত করেছে জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে’ ও আয়ারল্যান্ডের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কনসার্ন ওয়ার্লড ওয়াইড’। উল্লেখ্য, এই তালিকায় ভারতের ক্রমাবনতি বজায় রয়েছে৷ ভারতের চেয়ে ভালো ফল করেছে প্রায় সবকটি প্রতিবেশী দেশ৷ ক্ষুধা ও অপুষ্টির নিরিখে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে চিন, ব্রাজিল, কুয়েতের মতো ১৮টি দেশ। তাদের গ্লোবাল হাঙ্গার স্কোর বা জিএইচআই স্কোর ৫-এরও নিচে রয়েছে। সাধারণত কোনও দেশের সমসাময়িক অর্থনীতি, শিশু স্বাস্থ্য, মৃত্যুর হার ও সম্পদ বণ্টনের প্রেক্ষিতে এই সূচক তৈরি করা হয়৷ যেখানে ভারতের অবস্থান খুবই হতাশাজনক৷ ২০০০ সালে ভারতের জিএইচআই স্কোর ছিল ৩৮.৮। ২০১২ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ভারতের স্কোর কমে তা ঘোরাফেরা করছে ২৮.৮-২৭.৫-এর মধ্যে।