নয়াদিল্লি: বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দাবি করেছিল যে দুর্নীতি মুক্ত হবে ভারত। সেই প্রেক্ষিতেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল মোদী সরকার যার মধ্যে সবথেকে বড় পদক্ষেপ ছিল নোটবন্দি। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিল যে এই পদক্ষেপে আখেরে কোনও লাভ হবে না। সময় সময়ে এই কথাই আরও জোরালো হয়েছে। এবার বিশ্ব দু্র্নীতি সূচকের যে তালিকা প্রকাশিত হল তাতে আরও চাপে মোদী বাহিনী। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভুটানেরও পরে রয়েছে ভারত। তবে গত বছরের তুলনায় কিছুটা ‘উন্নতি’ হয়েছে দেশের।
আরও পড়ুন- রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম মহিলা পাইলট! কে এই ললনা
যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, ভারত রয়েছে ১৮০ দেশের মধ্যে ৮৫ নম্বর স্থানে। গত বছর ভারতের স্থান ছিল ৮৬। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার নিরিখে ২০২১ সালের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে আর তাতেও অস্বস্তিতে পড়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের পড়শি দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভুটান ভাল জায়গায় রয়েছে। কিন্তু বাকিরা যেমন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, চিন, সব দেশের অবস্থা খারাপ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ভারত পেয়েছে ৪০ নম্বর। চিনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫। বাংলাদেশ পেয়েছে ২৬ আর পাকিস্তান ২৮! ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, এই দেশগুলি সবথেকে ভাল জায়গায় অবস্থান করছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে। উল্লেখ্য, সবথেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সেই দেশ পায় শূন্য। অন্য দিকে সবথেকে বেশি দুর্নীতিমুক্ত দেশকে দেওয়া হয় ১০০ নম্বর।
এই তালিকায় আগের অবস্থান থেকে ১৬ ধাপ পিছিয়ে এখন পাকিস্তান রয়েছে ১৪০ নম্বরে। তবে ভারতের অবস্থান আগের তুলনায় এক ধাপ ভাল। যদিও এই নিয়ে মাতামাতি করার মতো কিছু নেই। কারণ এই রিপোর্টই জানিয়েছে যে, বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না সেভাবে। অর্থাৎ উন্নতির দিকে কিছুতেই অগ্রসর হতে পারছে না দেশ। তাই আবার একবার প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকার যে দুর্নীতি মুক্ত দেশের কথা বলল তা কতটা যথাযথ।