নয়াদিল্লি: নয়া মানচিত্র নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই সোমবার নেপালের সঙ্গে অষ্টম দফার ওএমএস বৈঠকে বসল ভারত৷ এদিন নেপালের বিদেশ সচিব শঙ্করদাস বৈরাগীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কাঠমাণ্ডুর ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কাওয়াত্রা।
আরও পড়ুন- নিশ্চিন্তে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন? সাবধান, বাড়তে পারে TAX-এর বোঝা!
এদিনের বৈঠকে রামায়ণ সার্কিট সহ দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ দু’পক্ষের মধ্যে তরাই সড়ক, আন্তঃসীমান্ত রেলপথ, অরুণ-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, পঞ্চেশ্বর বহুমুখী প্রকল্প, সেচ, বিদ্যুৎ, নেপাল পুলিশ অ্যাকাডেমি নির্মাণ এবং মহাকালী নদীর উপর সেতু নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ এছাড়াও গোর্খা এবং নুয়াকোট জেলায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৬,৩০১টি বাড়ি নির্মাণের বিষয়েও দু’দেশের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ আলোচনা হয়েছে বিহারের মোতিহারি থেকে নেপালের অমলেখগঞ্জ তেল পাইপলাইন এবং বিরাটনগর সীমান্তের ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট নিয়েও৷ প্রসঙ্গত, এই প্রকল্প দুটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি৷
আরও পড়ুন- শচীনের দাবি মিটিয়ে রাজস্থানে অজয়! জট কাটাতে তৈরি ৩ সদস্যের কমিটি
দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়গুলি পর্যালোচনার জন্য ২০১৬ সালে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া (ওএসএম) গঠিত হয়েছিল। এদিন ছিল অষ্টম দফার ওএসএম বৈঠক৷ নেপালের নয়া মানচিত্রকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই দু’দেশের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছে৷ নয়াদিল্লির আপত্তি উপেক্ষা করেই ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের মানচিত্রে জুড়ে পার্লামেন্টে বিল পাশ করিয়ে নেন ওলি।
কিছু দিন আগে আবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজোর আগে ভগবান শ্রী রামকে নেপালি বলে দাবি করে বসেছিলেন ওলি৷ তাঁর দাবি, প্রভু রাম ভারতের নন, নেপালের বাসিন্দা ছিলেন৷ আসল অযোধ্যা ছিল নেপালে৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেও বেশ শোরগোল পড়ে৷ এর পর অবশ্য স্বাধীনতা দিবসে মোদীকে ফোন করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী৷ প্রায় ১১ মিনিট কথা বলেন তাঁরা৷ মানচিত্র নিয়ে বিবাদের পর এই প্রথম কথা হয় তাঁদের মধ্যে৷ নমোকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান ওলি৷